শিগগিরই ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে মৃত্যুদ- কার্যকর শুরু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ায় মাদক সংক্রান্ত অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আরো কয়েকজনের খুব শিগগিরই মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হতে পারে। ফায়ারিং স্কোয়াডে তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। বাসস
সোমবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিরতির পর তারা নতুন দফায় মৃত্যুদ- কার্যকর করতে প্রস্তুত। আদালতের রায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত এক পাকিস্তানী নাগরিককে সোমবার নুসাকাম্বানগান কারাগার দ্বীপে পাঠানো হয়েছে এবং মাদক সংশ্লিষ্ট অভিযোগে মৃত্যুদ- প্রাপ্ত ইন্দোনেশিয়ার এক নারীকেও সপ্তাহান্তে ওই দ্বীপে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ দ্বীপে জাকার্তা মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে থাকে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানি ওই নাগরিকের মৃত্যুদ- নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। পাকিস্তানী ডেপুটি রাষ্ট্রদূত সাঈদ জাহিদ রেজা জানান, জাকার্তায় পাকিস্তানী দূতাবাসকে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে খুব শিগগিরই পাকিস্তানী নাগরিক জুলফিকার আলীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পাকিস্তানী দূতাবাস উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে এটা বলেছে যে, জুলফিকার ন্যায় বিচার পাননি। বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপ জানায়, জুলফিকারকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেয়া হয়। উল্লেখ্য, হেরোইন রাখার দায়ে ২০০৫ সালে তাকে এ সাজা দেয়া হয়।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারলের দপ্তর জানিয়েছিল, জুলাইয়ের শুরুতে ঈদের ছুটির পর দেশে আবারো মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা শুরু হবে। দেশটিতে সর্বশেষ ২০১৫ সালের জুলাইয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। ওই সময়ে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে দুই অস্ট্রেলিয়ানসহ সাত বিদেশীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। এতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মিত্রদেশসমূহে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।