ইসরায়েলের স্বার্থে সিরিয়ার পতন চেয়েছিলেন হিলারি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই সিরিয়াকে ধ্বংস করবো; এমন কথা বলেছিলেন মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মনোনয়ন পাওয়া হিলারি ক্লিনটন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনি এ কথা বলেছিলেন বলে উইকিলিকসে ফাঁস নতুন নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চ্যানেলআই
ওই নথিতে দেখা যায় তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি সিরিয়া প্রেসিডেন্ট আসাদকে উৎখাতের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে সাহায্য করার এটাই সর্বোত্তম রাস্তা।’
২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হিলারি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম মেয়াদের ওই সময়ে তিনি ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ই-মেইলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আদান-প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তও করা হয়।
উইকিলিকসের নথিতে ওই ই-মেইলের তারিখ ২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর থাকলেও মার্কিন নিউ অবজারভার অনলাইন জানায়, ওটা আসলে ৩১ ডিসেম্বর ২০১২। ওই বছরের মেতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইরান ও পশ্চিমাদের মধ্যে আলোচনার পরই ই-মেইল করেন হিলারি। অবজারভার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই ই-মেইলে এটাই পরিস্কার যে, সিরিয়া সংকটের শুরু থেকে মার্কিন পলিসি হলো সরকার উৎখাত করা এবং সেটা স্পেশালি ইসরাইলের স্বার্থের জন্য।’ ই-মেইলের শুরুতে হিলারি সোজাসুজি বলেন, ‘ইরানের ক্রমবর্ধমান পরমাণু সক্ষমতা থেকে ইসরাইলকে সাহায্য করার সর্বোত্তম রাস্তা হলো বাসার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাতে সিরিয় জনগণকে সাহায্য করা।’
অবজারভারবের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, স্বয়ং মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে ইরানের অ্যাটমিক বোমা বানানো কোনো তথ্য ছিল না। এরকম কোনো তথ্য ছিল না আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার কাছেও। কিন্তু ক্লিনটন অ্যাটমিক বোমা বানানোর মিথ্যা তথ্য চালু রাখেন ইসরাইলের স্বার্থে সিরিয়াকে ধ্বংস করার যুদ্ধ ‘জায়েজ’র জন্যে।
পত্রিকাটি আরো জানায়, হিলারি বারবারই বলেছেন ইরান পরমাণু বোমা বানালে সেটা সিরিয়ার হাতে যাবে যা ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
সেই সাথে তিনি ইসরাইলের নামের পাশে সৌদি আরব ও মিশরের নাম জুড়ে দেন। হিলারি আসাদ এবং তার পরিবারকে সরাসরি কোনো হুমকি দেননি। তবে তিনি বলেছেন, বাসারকে উৎখাত করতে ‘সন্ত্রাসই সবচেয়ে ভাল রাস্তা’।
এই ই-মেইলের পর আর কোনো প্রমাণের দরকার নেই যে, মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তের মূল স্পন্সর মার্কিন সরকার এবং সেটা ইসরাইলকে ‘রক্ষা’ করার জন্যেই-বলা হয় অবজারভারবের ওই প্রতিবেদনে।