দলিত নির্যাতনের প্রশ্নে ঘরে-বাইরে চাপে মোদি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার ভারেতর কর্নাটকেও দাদরির ছায়া। গুজরাটের উনায় দলিত নিগ্রহ নিয়ে বিতর্ক চলছে। এরইমধ্যেই গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে কর্নাটকের চিকমাগালুরে দলিত একটি পরিবারের উপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, হামলাকারী ৪০-৫০ জনের দলের সকলেই বজরঙ্গ দলের কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ জুলাই। তবে প্রকাশ্যে এলো সম্প্রতি। হামলায় আক্রান্ত পরিবারের তিনজন গুরুতর জখম হন। ৭ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস ফের বিজেপিকে আক্রমণের সুযোগ পেয়ে গেল। খবর আনন্দবাজারের।
এদিকে, একের পর এক দলিত নির্যাতনের ঘটনায় দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিকে মায়াবতী সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।
তেমনই দলের অসন্তুষ্ট নেতা যশবন্ত সিনহার দাবি, প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল সংসদে এই নিয়ে মুখ খোলা।
মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে দলিত নিগ্রহ, উত্তরপ্রদেশে দলিত নেত্রীকে বিজেপির নেতার কুকথার পর দেশজুড়ে বিতর্কে মলম লাগাতে প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের জনসভায় গিয়ে উন্নয়নের প্রলেপ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, জাত-পাতের বিষ ঘেঁটে কারও কোনো ভালো হয়নি। কিন্তু সরাসরি দলিত বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। এর আগে হায়দরাবাদের ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার পর উত্তরপ্রদেশে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী এই নিয়ে সমবেদনা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বিতর্কে এ বারে আরও চাপ বাড়ছে তার উপর। বিশেষ করে সংসদের অধিবেশন এখন চলছে। তার আগে কর্নাটকের খবর সামনে এসে পড়ায় বিরোধীরা হাতে নতুন অস্ত্র এল।