ইসমাঈল হুসাইন ইমু : এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকা-ের ঘটনার চেয়ে বর্তমানে বাবুল ইস্যু প্রাধান্য পাচ্ছে। মিতু হত্যাকা- নিয়ে পুলিশ সদর দফতর থেকে এখনও সব বিষয় খোলাসা না করায় জনমনে প্রশ্ন এ নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। বাবুল ইস্যু সরব হওয়ায় গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনাও চাপা পড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি আলোচনার বাইরে চলে গেছে ঢাবি প্রসপেক্টাসে ইতিহাস বিকৃতি, চট্টগ্রামে এসপি বাবুলের স্ত্রী মিতু হত্যাকা-, কুমিল্লার তনু হত্যাকা-, সুন্দরবন ধ্বংসকারী হিসাবে আখ্যা পাওয়া রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন চুক্তি, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর ইসরায়েলি মোসাদ কানেকশন।
এসপি বাবুল আক্তার বলেছেন, তিনি পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত আছেন। নতুন করে কাজে যোগদান করার খবর শোনা গেলেও তা তিনি অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাদের ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সশস্ত্র বাহিনী অভিযান চালিয়ে ওই ক্যাফের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরদিন নিহত জঙ্গিদের পরিচয় নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। পরে ঈদের দিন হামলা হয় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের অদূরে। গুলশান হামলার এক সপ্তাহ আগে দেশে আলোচনার মূল ইস্যুই ছিল এসপি বাবুল কী নিজেই তার স্ত্রীর হত্যায় জড়িত, নাকি পুলিশের কেউ এসপি বাবুলকে জড়াতে চাইছেন সেই আলোচনা। কিন্তু সেই তদন্তও এখন হারিয়ে গেছে। সন্দেহজনদের তালিকায় এসপি বাবুলের সোর্স মুছার কথা বলা হলেও সেই মুছার আর খবর নেই।
এদিকে গতকাল পুলিশের মহাপরিদর্শক শহীদুল হক বলেছেন, গুলশান এবং শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের উৎসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াও বলেছেন, এ দুই হামলায় জড়িতরা শনাক্ত হয়েছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হবে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম