এস এম নূর মোহাম্মদ : দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে চলা হত্যামামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের পর ৬ বছরেও শেষ না হওয়ায় ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগমের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে তাকে।
এই মামলায় এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিকালে গতকাল সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মনিরুজ্জামান কবির। আসামিপক্ষে ছিলেন খন্দকার আহসান হাবিব।
আদালত থেকে বেরিয়ে মনিরুজ্জামান কবির সাংবাদিকদের বলেন, দ্রুতবিচার আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন মামলা ১৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু ছয় বছর ধরে মামলাটি কেন ওই আদালতে পড়ে রয়েছে এজন্য বিচারককে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। এ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৪ আগস্ট বলেও জানান তিনি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূরবী সিনেমা হলের পাশে ফ্রিডম পার্টির অফিসের নিকট ছেচু মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে গুলিতে নিহত হন হারুনুর রশিদ নামে কাঁচামালের এক আড়তদার। এই ঘটনায় পরদিন ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন নিহতের ভগ্নিপতি মোশারফ হোসেন বাবুল।
পরে মামলাটি ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১০ সালের ১০ জুলাই এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ৭৮ জন সাক্ষীর মধ্যে গত ছয় বছরে ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ করেছে আদালত।
এরমধ্যে ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে থাকা এই মামলার আসামি মো. আবদুর রশিদ ট্রাইব্যুনালে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনের উপর শুনানিকালে গতকাল আদালত রশিদের জামিন প্রশ্নে রুল জারির পাশাপাশি ব্যাখ্যা তলব করেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম