কিরণ সেখ : মুদ্রাপাচার মামলায় তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
গতকাল সোমবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। রিজভী জানান, আগামী ২৭ জুলাই ‘বুধবার’ ঢাকা মহানগরসহ সকল মহানগরের থানায়-থানায় এবং সব জেলা, উপজেলায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ এখন বামলীগে পরিণত হয়েছে- আওয়ামী লীগ নেতা বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এই বক্তব্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বক্তব্য আরও যথার্থ হতো যদি তিনি বলতেন, আওয়ামী লীগ এখন ইনুলীগে পরিণত হয়েছে। রিজভী বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ভয়ঙ্কর চক্রান্তজালে দেশকে আটকে রাখতে চাচ্ছে। নতুন নতুন কূটচাল দিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রেখেছে। দেশ থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নীল নকশা অনুযায়ী একের পর এক ফাঁদ তৈরি করতে জ্ঞাত-অজ্ঞাত বিভীষিকা নামিয়ে আনা হয়েছে সারাদেশব্যাপী। ক্ষমতাসীনরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নানাভাবে পর্যুদস্ত করতে প্রতিহিংসার ছোবল দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, এই সরকারের আন্দোলনের ফসল ১/১১-এর মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার তারেক রহমানের উপর চালিয়েছে নিষ্ঠুর ও বর্বর নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকতায় এখনো পর্যন্ত চলছে তার উপর নির্যাতন। নানামুখী মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমা, হুমকি, মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনাসহ অর্থপাচার মামলায় খালাস পাওয়ার পরও আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে তারেক রহমানকে অন্যায় ও অন্যায্যভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির এই নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বর্তমান সরকার এগিয়ে চলেছে এক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে। সেই দূরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির দৃশ্যপট থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সরিয়ে দেওয়া। এজন্যই দেশব্যাপী নানা ধরনের নিঃশ্বাসরোধকারী, জীবনসংহারী ও সহিংস রক্তপাতের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্শ্ববর্তী একটি দেশের কাছে নিজেকে বাংলাদেশের কেয়ারটেকারে পরিণত করেছেন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম