জাফর আহমদ : ই-টেন্ডারিংয়ের জন্য ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসাবে বিশ্বব্যাংক ৮০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব কাজী সফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজেশ্বরী এস পারালকার উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অতিরিক্ত অর্থায়ন-এর মাধ্যমে এ প্রকল্পের আওতায় একটি নতুন স্ট্রেট অব-দ্য-আর্ট ডাটা সেন্টার নির্মিত হবে যার ধারণক্ষমতা হবে ২০ টেরাবাইট। এছাড়াও একটি মিরর সাইট স্থাপিত হবে যা বর্তমানে অবস্থিত নিম্ন ধারণক্ষমতার ডাটা সেন্টারকে প্রতিস্থাপন করবে। মিরর সাইটটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিকতর উন্নত হবে এবং বর্তমান ডাটা সেন্টারের ১৮০ গুণ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে যেখানে প্রায় ৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন টেন্ডার সংরক্ষণ করা যাবে এবং ৩ লাখ ২৫ হাজার নিবন্ধিত দরদাতার তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে।
২০১১ সাল হতে এ প্রকল্পের আওতায় ইলেকট্রিক প্রকিউরমেন্ট শুরু হয় এবং সরকারের অধিক ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্নকারী হিসাবে পরিচিত চারটি সরকারি সংস্থা, যথা-সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে এর আওতায় আনা সম্ভব হয়। এ প্রকল্পের ফলে সরকারি ক্রয় স্বচ্ছতা আনয়ন এবং দৃশ্যমান অগ্রগতি যেমন- টেন্ডার প্রক্রিয়ারকরণের সময় ২০১২ সালের ৫১ দিন হতে ২০১৫ সালে ২৯ দিনে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
অতিরিক্ত অর্থায়ন বর্তমান প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন- প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং ইত্যাদিকে সহায়তা করবে যার মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে অন্তত একজন প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা-কর্মচারী তৈরি হবে। এ ঋণ সহায়তা বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে; যার সুদের হার শতকরা শূন্য দশমিক ৭৫ ভাগ। ঋণটি ৬ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ যোগ্য।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টাকার অংকে কম হলেও এই অর্থায়নের মাধ্যমে সরকারি কেনাকাটায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে। ডাটা সেন্টার কেনার মাধ্যমে ইজিপি কার্যক্রম স্বয়ংসম্পূতা অর্জন করবে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম