রিকু আমির : কমিউনিটি ক্লিনিকের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির পাশাপাশি তাদের সম্পর্কিত সেøাগান ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতার ছবি কোনোভাবেই ব্যবহার না করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সোমবার বিকালে হোটেল ওয়েস্টিনে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং অব কমিউনিটি ক্লিনিক এক্টিভিটিজ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, শুধু কমিউনিটি ক্লিনিকই নয়, যে সংগঠন বা অফিসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকবে, সেখানে যেন কাজ হয়, এটিও খেয়াল রাখতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকে শুধু বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে রাখলেই হবে না, ব্যবস্থাপনা সুন্দর করতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও কমিউনিটি ক্লিনিক ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমের দলনেতা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর ডা. মমতাজুল হক, ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান কবীর, ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার ম্যানেজার অয়ন দেবনাথ প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, এ ব্র্যান্ডিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করা কমিউনিটি ক্লিনিককে মানুষের আরও কাছে নেওয়া হবে। যাতে যে কেউ ইচ্ছা করলেই এর কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারে। বন্ধ করলে সাধারণ মানুষই রুখে দাঁড়াবে। বিএনপি এ ক্লিনিক বন্ধ করে গরিব মানুষের ক্ষতিই করেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এসব আবার চালু করেন। প্রধানমন্ত্রী চান মানুষ বাঁচাতে আর আরেকজন চান মানুষ মারতে।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ব্র্যান্ডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি সেই পণ্য বা সেবাকে মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করবে। আমাদের পরিচিতিও বাড়াবে।
মহাপরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিককে মানুষের মনে আরও স্থান দিতেই এ ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, স্বাস্থ্যসেবা যখন বেসরকারি খাতে দেওয়া হলো তখন এটি বাণিজ্যিকীকরণ হয়ে পড়েছে। গরিবের পক্ষে আর সম্ভব হয় না, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের। এমন অবস্থাতেই কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্ম। কমিউনিটি ক্লিনিক একটি চেতনা, একটি দর্শন। এটিকে এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ইচ্ছা করলেই কেউ বন্ধ না করতে পারে। এরই মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের সুফল প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষ পেতে শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে- তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া। ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ অন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করা হবে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম