আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় আনসবাখ শহরে একটি সঙ্গীত উৎসবের বাইরে চালানো আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। জার্মানিতে আশ্রয় পেতে ব্যর্থ হওয়া ২৭ বছরের এক সিরীয় যুবক ওই হামলা চালায়। সোমবার বার্তা সংস্থা এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ব্যাভারিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলাকারীর ল্যাপটপে তারা একটি ভিডিও পেয়েছেন যাতে তাকে আইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে দেখা গেছে। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘটনার পর জনসমাগমের স্থানগুলোতে পুলিশ পাহারা বাড়ানোর আদেশ দিয়েছেন।
আইএসের কথিত বার্তা সংস্থা আমাক জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আইএসবিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার যে আহবান জানানো হয়েছিল তার প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
২৫ জুলাই ২০১৬ সোমবারের ওই হামলায় আহত হন ১২ জন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ‘প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যে ব্যক্তি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সে নিহত হয়েছে।’
ন্যুরেমবার্গের নিকটবর্তী আনসবাখ শহরে রোববার (২৪ জুলাই) রাতে ওই সিরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই ব্যক্তি এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে জানা গেছে। এর আগে তার অভিবাসনের আবেদন সাময়িকভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
একটি সঙ্গীত উৎসবে ঢোকার মুখে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আনসবাখের মেয়র কারডা সেইডেল জানিয়েছেন, ওই উৎসবে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।
বোমা বিস্ফোরণের সময় ওই ব্যক্তির কাঁধে একটি ব্যাগ ঝোলানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বোমাটি সেখানেই রাখা ছিল। পুলিশের এক মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, তাদের ধারণা, ওই ব্যক্তি একাই বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এখন পর্যন্ত তারা এর সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসী সংযোগ খুঁজে পাননি। তবে ওই অভিবাসনপ্রত্যাশী সিরীয় যুবকের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।
ব্যাভারিয়া রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম হারম্যান সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘এ ধরনের ঘটনা রুখতে আমরা সব রকমের চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও জানান, ওই সিরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশী দুবছর আগে জার্মানিতে প্রবেশ করে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ