কিরণ সেখ : জঙ্গিবাদের মতো পৈশাচিক পথে যারা পা বাড়িয়েছে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘গত ২২ জুলাই জার্মানির মিউনিখে সন্ত্রাসীদের গুলিতে হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি এ বিবৃতি দেন।
খালেদা জিয়া বলেন, সন্ত্রাসীরা সামাজিক অভিশাপ, এরা উন্মত্ত বিকারগ্রস্ত ও এদের কোনো দেশ কাল নেই। মানুষের রক্ত ক্ষরণের নেশা এদের বিভোর করে রেখেছে। বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, জার্মান, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামসহ পৃথিবীর নানাদেশে এখন চলছে সন্ত্রাসী উগ্রবাদী কর্তৃক সাধারণ মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার উন্মাদনা। যারা সন্ত্রাসী পৈশাচিক পথে পা বাড়িয়েছে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ।
তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সন্ত্রাসের পরিকাঠামো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আজ এক রক্তশীতল করা উদ্বেগ ও ভয় ছড়িয়ে পড়েছে। পৃথিবীর দেশে দেশে শান্তিপ্রিয় জনসমাজে একের পর এক অভিনব পৈশাচিক হামলায় অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে রক্তস্রোত বইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ সন্ত্রাসীরা মানবজাতির অর্জিত সভ্যতাকে গহীন অরণ্যে ঠেলে দিচ্ছে।
বিবৃতিতে বেগম জিয়া বলেন, মিউনিখে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী ঘটনা অমানবিক। আমি এ ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি। মিউনিখের ঘটনায় ৯ জন নিহত ও অসংখ্য লোক আহত হওয়ার ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ভিন্ন ধর্মীয়গোষ্ঠী, মুক্তচিন্তার মানুষ, চিন্তাশীল ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ নিরীহ সাধারণ মানুষও এদের প্রাণবিনাশী নিষ্ঠুর হামলার শিকার। নৃশংস গুপ্তহত্যা, নিশানা করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যা অথবা উৎসবমুখর জনসমাবেশের উপর ট্রাক চালিয়ে মানুষের দেহকে থেঁতলে দেওয়া ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণ বিবেকবর্জিত পশুপ্রবৃত্তির অমানুষদের পক্ষেই করা সম্ভব। বিশ্বের রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্য করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে পৃথিবী থেকে উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে এ মূহুর্তে জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে মানবজাতির সব অর্জন অন্ধকার গলিতে হারিয়ে যাবে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি