ইসমাঈল হুসাইন ইমু : কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিং নামের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাচেলরদের ভাড়া দিয়ে আসছিল বাড়ির মালিক। এছাড়া আশপাশেও রয়েছে বেশকিছু মেস। এসব মেসে বেশিরভাগ বাসিন্দাই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পার্শ্ববর্তী ইবনে সিনায় কর্মরতরাই থাকেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জাহাজ বিল্ডিংয়ে যেসব ব্যাচেলররা থাকতেন তাদের আচার ব্যবহার খুবই ভালো। নামাজ পড়তে অনুরোধ জানাতেন স্থানীয় যুবক ও দোকানদারদের। অন্য যুবকদের মতে রাস্তাঘাটে আড্ডা দিতে দেখা যায় না তাদের। একসঙ্গে ৭/৮ জন মিলে আসা যাওয়া করতেন তারা। তবে শিবিরের কোনো বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা যায়নি। কল্যাণপুরের মেসে থাকা যুবকদের অনেকেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি বাসা-বাড়িতে টিউশনি করার কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, ঈদের পর জাহাজ বিল্ডিংয়ের ৫তলার একপাশের দুটি কক্ষ ভাড়া নেয় দুই যুবক। এর আগে যারা ছিল তাদের আচরণও ভালো ছিল। দেশব্যাপী জঙ্গিবিরোধী অভিযান ও বিভিন্ন মেসে অভিযান শুরু হলে সটকে পড়ে আগের ব্যাচেলর ভাড়াটিয়ারা। তবে বেশিরভাগ যুবক ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয়।
সূত্র জানায়, জামায়াত-শিবিরের নাশকতার পরিকল্পনা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া অবস্থানের কারণে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে শিবিরের ক্যাডাররা। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ইতোমধ্যে বেশকিছু নাশকতাও চালিয়েছে তারা। এবার জঙ্গিদের সঙ্গে তালমিলিয়ে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে নাম-পরিচয় বদলে আস্তানা গড়ার চেষ্টা করছে তারা। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা