ভারতে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, সন্দেহের তালিকায় ‘বাংলাদেশি’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দুটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির পর পুলিশের সন্দেহের তালিকায় আছে সেখানে থাকা কিছু ‘বাংলাদেশি’। কয়েক মাসের ব্যবধানে হরিদেবপুর ও সোদপুরের দুটি স্বর্ণের দোকানে ওই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, চলতি মাসের প্রথম দিনে সোদপুরের একটি নামী স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতার হলেও মূল অভিযুক্ত ‘বাংলাদেশি’ ডাকাতরা পলাতক।
অন্যদিকে, গত অক্টোবরে হরিদেবপুরের স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।
প্রায় ১০ মাস আগে হরিদেবপুরের কাষ্ঠডাঙায় ক্রেতা সেজে স্বর্ণের দোকানে ঢুকে ডাকাতি করে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের একটি দল। দলের সকলেই ছিল মধ্যবয়স্ক। দোকানে ঢুকেই তারা সিসিটিভি’র তার ছিঁড়ে দেয়। আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কর্মীদের ভয় দেখিয়ে ভল্ট খুলে প্রায় ১৮ লাখ টাকার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালায়।
এ বছর জুলাই মাসের প্রথমে এই কায়দাতেই ডাকাতি হয় সোদপুরের স্বর্ণের দোকানে। এ ক্ষেত্রেও দুষ্কৃতীরা ছিল মধ্যবয়স্ক। পুলিশ জানতে পারে, এখানেও ঘটনাস্থলের কিছু দূরে ছোট মালবাহী গাড়ি রেখে হেঁটে এসে অস্ত্র দেখিয়ে লুটপাট চালায় ডাকাতরা। দুটি ঘটনাতেই দুষ্কৃতীরা একইভাবে কথা বলছিল। হরিদেবপুরের ঘটনায় কিছু সূত্র পেলেও তেমন এগোতে পারেননি তদন্তকারীরা। পরে সোদপুরের সঙ্গে এই ডাকাতির মিল পাওয়ায় তারা কথা বলেন ব্যারাকপুর পুলিশের সঙ্গে। ব্যারাকপুর পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করে নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা লীলা কীর্তনিয়া নামে এক মহিলাকে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু গয়না। জেরায় লীলা এই ঘটনায় তার ভাই গোলকের জড়িত থাকার কথা জানায়।
গোলকের সঙ্গে বারাসতের বাসিন্দা গোপাল নামে একজন ছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। তবে ওই দুজনকে ধরতে না পারলেও পুলিশ গ্রেফতার করে লীলার পরিচিত অনিমেষ ম-ল নামে এক ব্যক্তিকে। লীলা ও অনিমেষকে জেরা করে ধরা হয় অতীশ, দেব ও টুটুন নামে তিনজনকে। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, দুটি ডাকাতিতেই জড়িত ছিল একই ‘বাংলাদেশি’ ডাকাত দল।
গ্রেফতারকৃতরা ‘বাংলাদেশি’ ডাকাতদের আশ্রয় দেয়া থেকে শুরু করে সব রকম সাহায্য করত তারা। ওই ডাকাতদের বে আইনিভাবে পারাপার করানোর দায়িত্বও ছিল তাদের। এমনকি ডাকাতির সময়ে গাড়ি দিয়ে সাহায্যও করত তারা।