ক্যান্সার রোগীর ৩০ শতাংশ হেড-নেক ক্যান্সারে আক্রান্ত
রিকু আমির : বাংলাদেশের ক্যান্সার রোগীদের প্রায় ৩০ শতাংশ হেড-নেক ক্যান্সারে আক্রান্ত উল্লেখ করে তামাক ও অ্যালকোহল বর্জনের মাধ্যমে এর অধিংকাশ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটি অব হেড-নেক সার্জনস।
গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিশ্ব হেড-নেক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
হেড-নেক ক্যান্সার বলতে মূলত গলা মুখের বিভিন্ন গ্রন্থি, জিহবা, স্বরযন্ত্র, খাদ্যনালীর উপরের অংশ, নাক ও কানের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার বোঝায় উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ৩ সপ্তাহের অধিক সময় মুখের ভিতর ক্ষত নিরাময় না হওয়া, খাবার চিবানো বা গিলতে অসুবিধা হওয়া, ৪ সপ্তাহের অধিক পরিবর্তিত কণ্ঠস্বর স্বাভাবিক না হওয়া, রক্ত মিশ্রিত সর্দি বের হওয়া, গলায় বা মুখে ফোলা দেখা দেওয়া এই রোগের লক্ষণ।
বক্তারা আরও বলেন, ক্যান্সার হওয়ার জন্য বেশি দায়ী বিভিন্ন ধরনের তামাকদ্রব্য যেমন সিগারেট, বিড়ি, হুক্কা, গুল, সাদা পাতা, জর্দ্দা ইত্যাদিকে দায়ী করা হয়। উপমহাদেশে বিশেষত পান-সুপারি, চুন, সাদা-পাতা, জর্দ্দা, গুল ইত্যাদি মুখ গহ্বর এবং খাদ্যনালীর উপরের অংশের ক্যান্সারের জন্য দায়ী করা হয়।
এছাড়াও অ্যালকোহল ও অতিরিক্ত ঝালযুক্ত খাবারও হেড-নেক ক্যান্সারের জন্য দায়ী, তবে সবুজ শাক-সবজি এধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে।
হেড-নেক ক্যান্সার বাংলাদেশ প্রেক্ষিত বিষয়ক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিএসএমএমইউ এর নাক গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ ফারহান আলী রাজিব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আয়োজক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, সার্জনস এর কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মোসলেহ উদ্দিন প্রমুখ। সম্পাদনা :সৈয়দ নূর-ই-আলম