৬ মাস খেলতে পারবেন না মুস্তাফিজ
এল আর বাদল : বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দুঃসংবাদ। ক্রিকেট বিশ্বের বিস্ময়বালক টাইগার সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমান আগামী ছয়মাস খেলতে পারবেন না। বাম কাঁধে ইনজুরি সমস্যার জন্য তাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই দীর্ঘ সময় বিশ্রামে থাকতে হচ্ছে। তবে এই সময়টা আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে মনে করছেন বিসিবির কর্মকর্তারা। সাসেক্সে খেলার জন্য মুস্তাফিজ এখন ইংল্যান্ডে অবস্থান করছে। সেখানে প্রথম ম্যাচ খেলার পর দ্বিতীয় ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে কাঁধের পুরানো ইনজুরি নতুন করে দেখা দেয়। এরপর থেকে সাসেক্সের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলতে পারননি মুস্তাফিজ। তিনি এখন লল্ডনে বেশ কিছুদিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কাঁধের এমআরআই রিপোর্টও পাওয়া গেছে, যা দেশের জন্য হতাশার জন্ম দিয়েছে। বাম কাঁধের সøাপে সমস্যা ধরা পড়েছে। এটা তার পুরানো সমস্যা। চারদিন আগে নেটে বল করতে গিয়ে সেই পুরানো সমস্যা আবার মাথাচাড়া উদিয়ে উঠে। ফলে ২৫ জুলাই গ্লস্টারশায়ারের বিপক্ষে ওয়ানডে কপে সাসেক্সের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি সে। এরপর তার বাম কাঁধের এমআরই করা হয়।
গতকাল বুধবার এমআইয়ের রিপোর্ট হাতে পায় বিসিবি। রিপোর্ট খারাপ আসায় গতকাল হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে সাসেক্সের একাদশে রাখা হয়নি মুস্তাফিজকে। সাসেক্সের ওয়েবসাইটে অবশ্য আশা করা হয়েছে, টি-২০ ব্লাস্টের শেষ ম্যাচে আজ বৃহস্পতিবার মাঠে নামবেন কাটার বয়। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এর কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না। চলতি কাউন্টিতে মুস্তাফিজের খেলার সম্ভাবনাই নেই বলেই তিনি মনে করেন। কারণ যে ধরনের ইনজুরিতে মুস্তাফিজ পড়েছেন, সেটা দুই উপায়ে নিরাময় সম্ভব। প্রথমত: ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে সাময়িক চিকিৎসা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, অস্ত্রোপচার। ব্যথা নাশক ইনজেকশন নিয়ে খেলার বিপক্ষে বিসিবি। আগেই সাসেক্সকে এটা জানিয়ে দেওয়া হয়। আর সেটা মেনেও চলছে সাসেক্স। যদিও টি-২০ ব্লাস্টের নিজেদের শেষ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে ফিট না থাকা সত্ত্বেও কাটার বয়কে মাঠে নামাতে চাচ্ছে ক্লাবটি। কিন্তু বিসিবির নিষেধের কারণে শেষ পর্যন্ত তাকে মাঠে না নামানোর সম্ভাবনাই বেশি।
ব্যথা নাশক ইনজেকশন ব্যবহারের বদলে স্থায়ী চিকিৎসায় যেতে চায় বিসিবি। মানে অস্ত্রোপচার। অবশ্য তার জন্য আরও একটা এমআরআই করতে হবে। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। জালাল ইউনূস জানিয়েছেন, এধরনের অস্ত্রোপচার করে মাঠে ফিরতে ৬ থেকে নয় মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এর আগে বাংলাদেশের রুবেল হোসেনের এধরনের অস্ত্রোপচার করা হয় এবং তার মাঠে ফিরতে লাগে ৯ মাস। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি