যুদ্ধাপরাধ: ১৯৫ পাকিস্তানি সেনার তথ্য সংগ্রহে কমিটি
দীপক চৌধুরী : মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেওয়া ১৯৫ সেনা সদস্যের যুদ্ধাপরাধের তথ্য সংগ্রহের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, পাকিস্তানের ১৯৫ বা ততোধিক যুদ্ধাপরাধী সেনা কর্মকর্তার তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি প্রাথমিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী সেনা কর্মকর্তা সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ অব্যাহত আছে। তথ্য পাওয়ার পরে যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
দেশে এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে এবং তাদের মৃত্যুদ- কার্যকর হচ্ছে। এরমধ্যে খালেদা জিয়া সরকারের তিনি মন্ত্রীও ছিলেন যাদের মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে। তারা হলো: সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী (মন্ত্রীর পদমর্যাদায় উপদেষ্টা), জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও মহাসচিব আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ।
সম্প্রতি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধে মৃদ্যুদ-প্রাপ্তদের সাজা কার্যকরের পর পাকিস্তান উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়ায় এবং একাত্তরের গণহত্যার দায় অস্বীকার করায় সেই ১৯৫ জনের বিচারের দাবি নতুন করে আলোচনায় আসে।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিদেশীয় চুক্তির আওতায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক ১৯৫ সেনা সদস্যকে নিজ দেশে বিচারের মুখোমুখি করার শর্তে ফেরত নেয় পাকিস্তান। এরপর ৪৫ বছরেও তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করায়নি দেশটি।