ফ্রান্সের চার্চে হামলাকারীর একজন আদেল কারমিশ
আমির পারভেজ : গত মঙ্গলবার ফ্রান্সের রুয়েন শহরের কাছে একটি গির্জায় ঢুকে গির্জার যাজক জ্যাকুয়েস হ্যামেল (৮৪)-কে গলা কেটে হত্যা করেছে দুই হামলাকারী। তাদের একজনের নাম আদেল কারমিশ (১৯)। সিএনএন।
এ হামলাকারী আগে থেকেই পুলিশের নজরদারিতে ছিল। এমনকি হামলা চালানোর সময়ও তার গায়ে পুলিশের সারভেইল্যান্স ট্যাগ লাগানো ছিল বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফ্রাঁসোয়া মলিনস জানান, আদেল কারমিশ নামের ১৯ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজন সিরিয়া যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে গত বছর দুবার গ্রেফতারও হয়েছিল। হামলাকারীরা ‘অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে জড়ানো নকল বিস্ফোরক যন্ত্র’ এবং হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেইন্ট-এতিয়েনে-দ্যু-রুভরে নামের ওই ক্যাথলিক চার্চে প্রবেশ করে।
ফাদার জ্যাকুয়েস হ্যামেলকে লক্ষ্য করে জিম্মিকারীরা হামলা চালানোর সময় সেখানে থাকা কয়েকজন প্রার্থনাকারী পালিয়ে যেতে সফল হন। তারাই বেরিয়ে পুলিশকে খবর দেন।
চার্চে জিম্মি থাকা সিস্টার দানিয়েল উদ্ধারের পর পুলিশকে জানান, হামলাকারীরা ফাদার হ্যামেলকে জোর করে হাঁটুগেড়ে বসায়। তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা ফাদারকে গলা কেটে হত্যা করে।
ঘটনায় দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। জঙ্গি দলটির সাথে সম্পর্কযুক্ত আমাক নিউজ এজেন্সি জানায়, ‘দুজন আইএস সেনা’ এ হামলা চালিয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদও বলেন, হামলাকারীরা আইএসের সাথে সম্পৃক্ততার দাবি করেছিল। হামলাস্থল সেইন্ট-এতিয়েনে-দ্যু-রুভরে চার্চে উপস্থিত হয়ে ওঁলাদ একে ‘কাপুরুষোচিত হত্যা’ বলে মন্তব্য করে আইএসের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে যুদ্ধের কথা বলেন।
গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে সকালের প্রার্থনার সময় হামলাকারীরা ধারালো ছুরি হাতে গির্জায় প্রবেশ করে। তারা এ সময় ৫ জনকে জিম্মি করে নেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পিয়েরে হেনরি ব্রান্ডেট জানিয়েছেন, গির্জা থেকে দুই হামলাকারী বের হয়ে আসার পর পুলিশের গুলিতে তারা নিহত হয়। জিম্মি হওয়া তিনজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। অপরজন জীবনের সঙ্গে লড়ছেন। ঘটনার পর ফ্রান্সের বিশেষ বাহিনী বিআরআই গির্জাটি ঘিরে রাখে। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ