যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ‘গ্লাসসিলিং’এ ফাটল
আমির পারভেজ : হিলারি ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি যা তুলনা করা হচ্ছে কাঁচের ছাদে ফাটল হিসাবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাস প্রবেশ করলো এক নতুন যুগপর্বে। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে হিলারি ক্লিনটনের মনোনয়নের মধ্যদিয়ে সে দেশের রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা হলো। কেননা, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ পর্যন্ত রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের হয়ে যারা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন, তাদের মধ্যে হিলারিই প্রথম নারী প্রার্থী। সিএনএন।
হিলারি ক্লিনটনকে সেরা বন্ধু হিসাবে বর্ণনা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতা পাওয়ার জন্য তাকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও হিলারির স্বামী বিল ক্লিনটন।
বেশ আবেগপূর্ণ বক্তৃতায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিলারির সাথে তার পরিচয় এবং সরকারি কাজের প্রতি তার দায়িত্বশীলতার কথা তুলে ধরে বলেন, আমি আশা করি আপনারা তাকে নির্বাচিত করবেন’।
তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে বড় কোনো দলের আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পান।
কনভেনশনের রাতটির সমাপ্তি হয় হিলারি ক্লিনটনের ভিডিও বার্তার মধ্যদিয়ে। সেখানে তিনি বলেন, আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে,‘ আমরা কাঁচের ছাদে সবচেয়ে বড় ফাটল তৈরি করতে পেরেছি’।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো ছোট মেয়ে এই ভিডিওটি না দেখে থাকেন তাহলে তার উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, আমি হয়তো আমেরিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হব, কিন্তু তোমাদের মধ্যেও কেউ একজনই হবে আগামী দিনের প্রেসিডেন্ট’।
উল্লেখ্য, ১৮৭২ সালে প্রথমবারের মতো কোনো নারী প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়েছিলেন। ওই নারী প্রার্থী একটিও ইলেকটোরাল ভোট পাননি। কিন্তু তখনও পর্যন্ত নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। ১৯২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা ভোটাধিকার পায়। যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০ বছরের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত যে চল্লিশজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সবাই পুরুষ। এমনকি মার্কিন দ্বিদলীয় নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো দলই নারীদের প্রার্থী হিসাবে বাছাই করেনি। আর তাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হলেও ইতিহাসের হাতছানি রয়েছে হিলারির সামনে। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ