তারেকের মামলা প্রত্যাহার করতে আ.লীগই বাধ্য হবে : নোমান
কিরণ সেখ : তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা (আওয়ামী লীগ) মামলা দিয়েছে তারাই সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এছাড়া অর্থপাচার মামলার সঙ্গে তারেক রহমানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাই আমরা এই মামলাকে গুরুত্ব দিচ্ছি না।
মামলাটিতে বিএনপি গুরুত্ব না দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে যখন বর্তমান সরকার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে তারাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের মামলা প্রত্যাহার করে নেবে।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ষড়যন্ত্রমূলক রায়ের বিরুদ্ধে এ প্রতিবাদ সভায় নোমান বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবেই। তাই জঙ্গিবাদ রুখতে হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। কারণ এর আগে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলো সরকার প্রশাসন ও অস্ত্র দিয়ে দমন করেছে। কিন্তু এবার সেটা করতে দেওয়া যাবে না।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বন্যায় ভাসছে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর ত্রাণ ও সহযোগিতা প্রয়োজন। আর এ কারণে আমাদের সবার সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
জঙ্গিবাদ রুখতে জাতীয় ঐক্য ছাড়া বিকল্প আর কোনো পথ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু সরকার বলছে, জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে। তবে সরকারকে মনে রাখতে হবে, ১৪ দলের ঐক্যকে জাতীয় ঐক্য বলা যাবে না। কারণ জাতীয় ঐক্য গড়তে হলে সেখানে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকতে হয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম এ মালেক, ওলামা দলের সভাপতি এম এ মালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম