সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ সন্ত্রাসকে উৎসাহিত করে গণমাধ্যমে প্রচারিত বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
মাহমুদুল আলম : ‘প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমে সন্ত্রাসীদের পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করতে পারে এমন সব প্রচারিত ও প্রকাশিত বিষয় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে চলমান অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্ন-উত্তর পর্বে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে একথাও সত্য যে, বিএনপি-জামায়াত জোট কর্তৃক সৃষ্ট এরূপ নাশকতামূলক কর্মকা- ও মানুষ হত্যা বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম ও প্রিন্টমিডিয়া জাতির সামনে তুলে ধরে তা প্রতিরোধে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধকরণসহ এর বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং করে যাচ্ছে।
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব আবারও নাকচ করে দিলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রশ্নোত্তর পর্বে সংশ্লিষ্ট সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে লেখাপড়া প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। বছরের পর বছর সেশনজট থাকতো, সময় মতো ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারতো না। চাকরির বয়স পার হয়ে যেত।
তিনি বলেন, ওই সময় থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স কিন্তু ২৫ বছর, এরপর ২৬ করা হয়। সেখান থেকে ৪ বছর বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে। ত্রিশ বছর করার পরও যদি কেউ চাকরি না পায় তাহলে এটি দুঃখজনক। এখন সেশনজট নেই, ২২-২৩ বছরের মধ্যে মাস্টার্স শেষ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এখন সেশনজট নেই। চার বছর বাড়ানো হয়েছে… আর কত বাড়াতে হবে? তাহলে কী তারা প্রৌঢ় বয়সে গিয়েও চাকরি নেবে? ২২/২৩ বছরে যে মেধা ও কর্মক্ষমতা থাকে তা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। আর তাছাড়া যারা পারে তারা সব সময়ই পারে। যারা পারে না তারা কোনো সময়ই পারে না। কথায় তো আছেÑ যারা পারে না তারা ৯০ বছর বয়সেও পারে না। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম