মাওলানা মনযূরুল হক
হজ ফরজ হয় ৯ম হিজরিতে। রাসুল সা হজরত আবু বকরকে রা হজযাত্রার আমির নিযুক্ত করেন এবং মুসলমানদের হজ করাবার দায়িত্ব তাকে সোপর্দ করেন। মুশরিক কাফিররাও হজের জায়গাগুলোতে ছিলো। হজরত আবু বকর রা. সঙ্গে মদিনা থেকে তিন শ’ লোকের একটি কাফেলাও হজ আদায়ের নিয়তে রওয়ানা হয়।
এ সময় সুরা তাওবা অবতীর্ণ হয় রাসুলের সা ওপর। তিনি হজরত আলিকে রা ডেকে পাঠান এবং তাকে বলেন সুরা তাওবার প্রথম দিককার আয়াত ও এ সংক্রান্ত আহকাম তথা বিধানসমূহ নিয়ে সেখানে যেতে এবং কুরবানির দিন যখন সকল লোক মিনায় একত্র হবে তখন এই ঘোষণা দিতেÑ জান্নাতে কোনো কাফির প্রবেশ করবে না এবং এ বছরের পর থেকে কোন কাফির মুশরিক হজ করতে পারবে না, উলঙ্গ হয়ে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করতে পারবে না। আর রাসুলের সা সঙ্গে কারও কোনো চুক্তি হয়ে থাকলে নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ করা হবে।
হজরত আলি রা রাসুল সা. এর উটনির পিঠে চড়ে রওয়ানা হন এবং হজরত আবু বকরের রা. সঙ্গে পথিমধ্যে মিলিত হন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, আদেশদাতা হয়ে এসেছেন, নাকি আদিষ্ট হয়ে?
হজরত আলি রা বললেন, আদিষ্ট হয়ে।
এরপর উভয়ে গন্তব্যের দিকে রওয়ানা হলেন। হজরত আবু বকর রা. হজ্জের ব্যবস্থাপনায় মশগুল হলেন। কুরবানির দিন হজরত আলি রা. দাঁড়িয়ে রাসুল সা. এর নির্দেশ ও হেদায়াত অনুযায়ী ঘোষণা দিতে থাকেন। Ñসিরাতে ইবনে হিশাম ও নবিয়ে রহমত
লেখক : আলেম ও কলামিস্ট