কল্যাণপুরে নিহত রাশিকের বাসার বাসিন্দারা ভীত-বিব্রত
রিকু আমির : রাজধানীর আবাসিক এলাকা ধানম-ির ১১/এ রোডের ৭২ নম্বর ভবনের নাম ধানম-ি প্রাইড। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা কাফিল উদ্দিন মাহমুদের জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে বাড়িটি। যে বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন কল্যাণপুরের তাজমঞ্জিলে নিহত তাজ-উল-হক রাশিক। তার সম্পর্কে ভবনের বাসিন্দারা ভীত-বিব্রত এবং তারা কথা বলতে নারাজ। এ বাড়িতে সরকারের সচিবসহ দেশের খ্যাতনামা কিছু ব্যক্তি থাকেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বাড়িতে দেখা যায়, প্রধান ফটকের সামনেই দাঁড়ানো নিরাপত্তাকর্মী। রাশিকের বিষয় জানতে চাইলে তিনি প্রথমে কথা বলতে চাননি। পরে রাজি হন। এরপর কথা হয় বাড়ির সুপারভাইজার আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। তিনিও কথা বলতে ভয় পান।
আলমগীর জানান, রাশিকের স্বজনরা তৃতীয় তলার বি-২ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকেন। রাশিক নামাজ পড়ত। তাকে ভদ্র ছেলে বলেই তার মনে হয়েছে। তবে গত ছয় মাস তাকে আর দেখেননি আলমগীর। সিলেটের একটি কলেজে রাশিক পড়ালেখা করতো বলে জানতেন তিনি। সে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভবনটির তৃতীয় তলার বি-৩ ফ্ল্যাটে ছিল।
আলমগীর আরও জানান, রাশিকের বাবা রবিউল হক আগে লন্ডনে ব্যবসা করতেন। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তিনি দেশেই থাকেন। রাশিকের বড় ভাই তাজ-উল হক রাজীব পেশায় স্থপতি। বাবা রবিউল হক হার্টের রোগী। তার বাবা প্রায়ই অসুস্থ হতেন। তবে রাশিক কখনও তাকে দেখতে আসত না।
ঢাকা মহানগর পুলিশ গত বুধবার বিকালে রাশিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙ্গুুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়। রাশিক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) থেকে পাস করে। জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙ্গুুলের ছাপের সঙ্গে জঙ্গিদের আঙ্গুুলের ছাপ মিলিয়ে তাদের পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান ডিএমপির জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি