আমেরিকা আসা ২ বাংলাদেশীর সাক্ষাত চায় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্মকর্তা ড্যানিয়েল
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগের তদন্ত করছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। গার্ডিয়ানের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তারা এই ব্যাপারে কাজ শুরু করে। ডিটেনশন সেন্টারে থাকা ইমিগ্রান্টদের উপর নির্যাতন প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। গত বছর যে ২৭ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে ৫ জনের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান পত্রিকা। সেই সাক্ষাৎকারে তারা বর্ণনা করেছেন তাদের উপর কী ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে। এই কারণে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো ২ জনের সাথে সরাসরি কথা বলবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্মকর্তা ড্যানিয়েল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটের ডিপোর্টেশনে থাকা ৪৫ বাংলাদেশীকে গত ২৫ জুলাই সকালে ডিপোর্ট করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির নিজস্ব বিমানে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এর আগে এত বাংলাদেশীকে ডিপোর্ট করার নজির নেই। ২০১৫ সালে ৮৫ জনকে ডিপোর্ট করে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার সময় ২৭ বাংলাদেশীকেও নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এবার যাদের পাঠানো হয়েছে তারা ২৬ জুলাই রাতে বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
নিউইয়র্ক থেকে এনা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ড্রামের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফাহাদ আলম ও আর্গানাইজিং ডিরেক্টর কাজী ফৌজিয়া জানান, গত ২৪ জুলাই সকাল সাড়ে ৫টায় অন্যান্য দেশের সাথে ৪৫ বাংলাদেশীকে ডিপোর্ট করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের ডিপোর্ট করা হয়েছে তাদের সকলেরই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন রয়েছে। আবেদন থাকা সত্ত্বেও তাদের ডিপোর্ট করা হয়েছে। এমন কি মাহবুবুর রহমান নামের একজন বাংলাদেশীর পক্ষে কোর্টে স্টে অর্ডারও রয়েছে। সেই স্টে অর্ডারকে অমান্য করে ৪৫ জনের সাথে মাহবুবুর রহমানকেও ডিপোর্ট করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কাজী ফৌজিয়া বলেন, যেহেতু মাহবুবের স্টে অর্ডার আছে, আমরা এখন চেষ্টা করছি তাকে আবার ফেরত বিমানে নিয়ে আসার। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও আমেরিকার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে প্রায় ২ হাজারের মত বাংলাদেশী রয়েছেন। প্রতিদিনই সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশীরা উন্নত জীবনের আশায় আমেরিকায় আসছেন এবং ধরা পড়ে বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছেন। তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে। এদের নির্যাতনের খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় আসছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি