ধর্মের কথা বলে অর্থ সংগ্রহ করতেন হুজির সদস্যরা : মনিরুল
মাসুদ আলম : নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি) অর্থদাতা খালেদ সাইফুল্লাহ্ ওরফে সগির বিন এমদাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২১ জুলাই মহানগর দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশ হুজির ঢাকা মহানগরীর কমান্ডার মাওলানা মো. নাজিমুদ্দীন শামীমসহ তিন সক্রিয় সদস্যকে বই ও প্রচারপত্রসহ গ্রেফতার করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হুজির বেশ কিছু সদস্য আফগানিস্তান ও সিরিয়ায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে দুজন আফগানিস্তানে নিহত হয়েছে এবং অনেকে আহত হয়েছে। তারা ঢাকা থেকে ওই সদস্যদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হতে আর্থিক সাহায্য সংগ্রহ করেন। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছে ৫১টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তার তালিকা পাওয়া গেছে।
মনিরুল বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, হুজি ঢাকা মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ্ ওরফে সগির বিন এমদাদ। খালেদ সাইফুল্লাহর বাংলা বাজারে মাকতাবাবুল কুরআন নামে একটি নিজস্ব প্রকাশনা রয়েছে। ওই প্রকাশনীর মাধ্যমে সে উগ্রপন্থী বই প্রকাশ ও প্রচার করে হুজির সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করে আসছে। তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ ওই প্রকাশনায় অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার জিহাদি বই জব্দ করে।
মনিরুল আরও বলেন, সাইফুল্লাহ্ মিরপুর এলাকার একটি মসজিদের ঈমাম ছিলেন। সাধারণ মানুষকে ধর্মের কথা বলে আর্থিক সহায়তা নিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সদস্যরা। এ অর্থ দিয়ে সংগঠন পরিচালনাসহ জিহাদে হতাহত সদস্যদের পরিবারকে সহায়তা করা হতো। এছাড়া নাজিমুদ্দীন মিরপুর জার্মান টেকনিক্যাল স্কুল মসজিদের ইমাম। পাশাপাশি আকবর কমপ্লেক্স মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল। গত শুক্রবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ। পরে অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার বুধবার নাজিমুদ্দীনকে তিনদিনের রিমান্ড নেয় পুলিশ। অপর দুজন রিমান্ড শেষে জেলহাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, আবারও তিন দিনের রিমান্ড এনে নাজিমুদ্দীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি