পরিকল্পনামন্ত্রী নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এসডিজি অর্জন হবে
জাফর আহমদ : পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন করতে পারবো বলে আশা করছি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-১৬’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এসময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এমডিজির হাত ধরেই এসেছে এসডিজি। বাংলাদেশ এমডিজিও সবার আগে বেশ ভালোভাবে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রত্যেক সক্ষম মানুষকে সামাজিক কর্মকা-ে না আনতে পারলে আমাদের জীবন বৃথা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, যুব সমাজকে এ কর্মকা-ে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে তাদের মন জয় করতে হবে। সবাইকে শিক্ষার আওতায় আনতে হবে। এক সময় মাত্র ৪০ শতাংশ ছেলেমেয়ে স্কুলে যেতো, এখন ৯০ শতাংশ যায়।
তিনি বলেন, শিক্ষার মান যথাযথ করতে ও স্বপ্ন দেখাতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে বড় হলে দেশ উপকৃত হবে। ভালো কিছু করতে পারবে। কিছুদিন আগেও ১ শতাংশ ছেলে-মেয়ে কারিগরি শিক্ষার সুযোগ পেত। দেশে ২৯ মিলিয়ন (২ কোটি ৯০ লাখ) বেকার রয়েছে। এদের কাজের সুযোগ করতে মূল সমস্যা গ্যাস ও জ্বালানি।
সরকার জীবনমুখি ও দক্ষতা সৃষ্টিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগে কারিগরির শিক্ষার সুযোগ পেত ১ শতাংশ ছেলে-মেয়ে। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে। ২০২১ সাল নাগাদ এ হার দাঁড়াবে ২০ শতাংশ। তরুণদের উৎসাহ দিতে হবে। মোটিভেটেড করতে না পারলে যুব সমাজ বিপথে চলে যাবে। কর্মমুখী করার জন্য ভালোবাসা দিতে হবে। দেশের প্রতি মায়া, মমতা ও কর্তব্যবোধ সম্পর্কে বোঝাতে পারলে যুব সমাজ সুপথে ফিরে আসবে।
দেশের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলাকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দু’টি সমস্যা আছে। একটি অভ্যন্তরীণ, আরেকটি বৈশ্বিক। দেশে যে সব সহিংসতা হচ্ছে আন্তর্জাতিক কারণে হচ্ছে। আমি মনে করি এটি সামগ্রিক বিষয় দ্রুতই বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, টিআর, কাবিখার ৫০ শতাংশ চলে যায় মূল কাজের বাইরে। এজন্য আমরা বলেছি একজন একটির বেশি প্রকল্প পরিচালক যাতে না হতে পারেন।
প্রসঙ্গত, এসডিজি হলো ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত একগুচ্ছ লক্ষ্যমাত্রা। জাতিসংঘ লক্ষ্যগুলো প্রণয়ন করেছে এবং ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা’ হিসাবে সেগুলোকে প্রচার করেছে। এর মেয়াদ ২০১৫ থেকে ২০৩০ সাল। এতে মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি সুনিদিষ্ট লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম