এবার জন্মদিনে দেশে ববিতা আজ ববিতার জন্মদিন
অভি মঈনুদ্দীন : আজ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নায়িকা ববিতার জন্মদিন। বিগত কয়েকবছর জন্মদিনে একমাত্র ছেলে অনিকের সঙ্গে কানাডায় উদ্যাপন করেছেন। কিন্তু এবার তিনি এই সময়ে দেশেই আছেন। তাই এবারের জন্মদিনে একমাত্র সন্তান অনিককে খুব মিস করবেন ববিতা। সময়ের পালাক্রমে কতোতে পা রাখছেন? প্রশ্ন শুনেই হাসলেন ববিতা। ববিতা বললেন,‘ বয়স কতো হলো সেটা জানার আর তেমন কী দরকার! নাইবা বললাম নিজের বয়স। থাকনা অজানা আমার এই বয়সের কথা। সত্যি বলতে কী মেয়েরা কখনোই নিজের বয়সের কথা বলতে চান না। আমিও চাইনা আমার বয়সটা কেউ জানুক। তবে বুঝতে পারি দিনে দিনে বয়স বেশ ভালোই বেড়ে গিয়েছে।’ জন্মদিন এলে প্রথম কোন বিষয়টি আপনার মনে পড়ে?
জবাবে ববিতা বলেন,‘ জন্মদিন এলেই আমার মন খারাপ হতে থাকে। কারণ জন্মদিন আসা মানেই এই নয় যে খুব আনন্দের বিষয়। জন্মদিন মানেই হচ্ছে জীবন থেকে আরো একটি বছর চলে যাওয়া। জন্মদিন আসা মানেই হচ্ছে মৃত্যুর কাছাকাছি এগিয়ে যাওয়া। তাই জন্মদিন এলেই আমার এসব বিষয় আগে অনুভব হয় আমার। তারপর খুব মনে পড়ে বাবা আর মায়ের কথা। আর এখন খুব মিসকরি অনিককে। বিগত বেশ কয়েকটি বছর কানাডায় অনিকের সঙ্গে জন্মদিন উদ্যাপন করেছি। কিন্তু এই বছর সবমিলিয়ে আর কানাডায় যাওয়া হলো না। তবে অনিকের সঙ্গে সবসময়ই আমার স্কাইপিতে কথা হয়। তাই অনিক যে দেশে নেই তেমনটা খুব মনে হয়না।’ এবারের জন্মদিন নিয়ে কী পরিকল্পনা আপনার? ‘সত্যি বলতে কী বেশ কয়েকবছর পর আমি ঢাকায় জন্মদিন উদ্যাপন করছি। ভেবেছিলাম এবার একটু আয়োজন করে জন্মদিন উদয্াপন করবো। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এখন ভালো নয়। নিজের মনটাও আসলে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য ভালো নেই। তাই ইচ্ছে থাকার পরও এবারের জন্মদিনে কিছুই করছিনা। হয়তো সাদামাটা একটি দিন যাবে আমার। আবার এমনও দেখা যেতে পারে আমার দুই বোন সুচন্দা বুজি আর চম্পা আসতেও পারে। দিনের কোন একটি সময়ে ডিসিআইআই (ডিসট্রেস চিলড্রেন ইনফ্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল) থেকে ছোট ছোট বাচ্চারা আসবে নাচতে, গাইতে। কারণ এর গুডউইল এ্যাম্বাসেডর হিসেবে এখনো কাজ করছি আমি। ওদের সঙ্গেই জন্মদিনের বিশেষ মুহুর্ত কেটে যাবে আমার। বিশেষ এই দিনটিতে আমি সবার কাছে দোয়া চাই যেন সবসময় ভালো থাকি, সুস্থ থাকি। আর আমি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য দোয়া করি যেন সবাই যার যার অবস্থানে ভালো থাকেন।’ ববিতার ছোটবেলা কেটেছে যশোহরে। সেখানে তিনি ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুলে ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রী ছিলেন। ছোটবেলায় ববিতা বাবার রাখা ইংরেজি পত্রিকা উল্টো করে হাতে নিয়ে উল্টা পাল্টা পড়ে যেতেন। মেয়ের ইংরেজি পড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে তার বাবা তাকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়তে দেন। আবার ববিতার কোন এক জন্মদিনে তার বাবা তাকে একটি ইংরেজি ডিকসনারি উপহার দিয়েছিলেন। তাতে ‘মা পপি’ সম্বোধন করে তার বাবা অনেককিছুই লিখেছিলেন। বাবাার দেয়া সেই গিফটিই ববিতার জীবনে সেরা জন্মদিনের উপহার। বাবার দেয়া সেই গিফট আজো যতœ করে রেখে দিয়েছেন ববিতা। মোহসীন পরিচালিত ‘রাতের পরে দিন’ সিনেমাটি যখন মুক্তি পায় সেই সময় ‘প্রতিনিধি’ সিনেমাটিও মুক্তি পেয়েছিলো। ‘রাতের পরে দিন’ সিনেমাতে ববিতার নায়ক ছিলেন ওয়াসীম।