আগে জানলে বুরহানকে বাঁচাতাম : মেহবুবা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘আগে জানলে ওকে মরতে দিতাম না।’ বুরহান ওয়ানির মৃত্যু নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য জম্মু–কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির। সেনার গুলিতে বুরহানের মৃত্যুর পর দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে অভিন্ন অবস্থানে আনার চেষ্টা করে মোদি সরকার। কিন্তু কাজ হচ্ছে না তাতে। বুরহানের মৃত্যুর পর রাজ্যবাসীর ক্ষোভের শিকার হয়েছিল রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি’র শরিক পিডিপি। মুখ্যমন্ত্রী আহতদের খোঁজও নেননি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় মানুষ। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টেছে। ধীরে ধীরে হলেও শান্তি ফিরেছে উপত্যকায়। আজকাল
এবার কাশ্মীরবাসীর সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা পিডিপি নেত্রী মেহবুবার। দলের ১৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে সংবাদ মাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনন্তনাগ এলাকার একটি বাড়িতে তিন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পেয়েছিল সেনা। তাদের মধ্যে কেউ বুরহান ওয়ানি হতে পারে তা বোঝা যায়নি। যদি কোনওভাবে জানতে পারতাম ওখানে বুরহান রয়েছে, তাহলে ওকে এভাবে মরতে দিতাম না। আগের তুলনায় কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন ঢের ভাল। পর্যটন শিল্পের হাত ধরে অর্থনীতির বিকাশ ঘটেছে। যথেষ্ট নিরাপত্তা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওকে একটা সুযোগ দিতাম।’ বুরহান-হত্যার প্রতিবাদে নেমে যে তরুণরা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করেন মেহবুবা। বলেন, এই আত্মত্যাগ বিফলে যেতে দেব না। পেলেট গান ব্যবহারের দায় চাপালেন কেন্দ্রের ওপর। জানান, তিনি বারণ করেছিলেন পেলেট গান ব্যবহার করতে, কেউ কান দেয়নি। অশান্তির দায় নিজের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করেন, আফজল গুরুর ফাঁসির সময় ওমর আবদুল্লার সরকার আগেভাগেই খবর পেয়েছিল। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিল। বুরহানের মৃত্যুর পর তাদের সরকারও কার্ফু ঘোষণা করে। ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।