সবজির বাজারে বন্যার প্রভাব মরিচের ঝাল আর পিয়াজের ঝাঁজ বেড়েছে
মাসুদ মিয়া : দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। মরিচ ও পিয়াজের দাম বেড়েছে রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে। এ কারণে রাজধানীতে অধিকাংশ শাক-সবজির দাম বেড়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা। পাশাপাশি রসুনের দাম একটু বেড়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি সবজির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৮ টাকা। রাজধানীর পিরেরবাগে প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়। দেশি রসুন খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা দরে। একই সঙ্গে বেড়েছে আমদানি করা বড় রসুনের দামও। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে এটি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে পণ্যটি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি করা রসুন এখন বাজারে কম পাওয়া যায়। এর চাহিদাও বেশি। অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের বাজার অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৮৫ টাকা দরে। আর প্যাকেট তেল ৯০ টাকায়। তবে বোতলের তেল ৯৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। মুদিপণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি খোলা আটা ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা, দুই কেজি ওজনের প্যাকেটজাত আটা ৭০ থেকে ৭২ টাকা, ময়দা ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, দুই কেজি ওজনের প্যাকেটজাত ময়দা ৮৮ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে বাজারে।
এছাড়া মসলার মধ্যে শুকনা মরিচ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা ও হলুদ ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর পিরেরবাগ, বউবাজার, ফার্মগেট, মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা ও লাল লেয়ার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। দেশি মুরগি আকারভেদে প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা এবং পাকিস্তানি মুরগি ২০০ টাকায়। অন্যান্য মাংসের মধ্যে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪২০ থেকে ৪৩০ টাকা, খাসির মাংস থেকে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মাছের মধ্যে ছোট আকারের রুই প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকা, বড় আকারে রুই ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা (মাঝারি) ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, চাষের কই ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা, টাঁকি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, শৈল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়েছে।
বন্যার কারণে অধিকাংশ সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। সবজির মধ্যে কাঁচাকলার হালি ৩০ থেকে ২০ টাকা, আলু বিক্রয় হচ্ছে ২৪ থেকে ২৬ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, বেগুন জাতভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা ইতোমধ্যেই বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা, তলিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলের খেত। সম্পাদনা : এম আলম