ফোন করে মাদক ব্যবসায়ীর ফাঁসি ঠেকালেন নওয়াজ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় বন্ধ হলো এক পাকিস্তানি মাদক চোরাকারবারির ফাঁসি। বৃহস্পতিবার রাতে অন্য অপরাধীদের সঙ্গে পাকিস্তানি নাগরিকেরও ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার কথাছিল।
কিন্তু ফাঁসির মঞ্চে নেওয়ার আগ মুহূর্তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ফোন পেয়ে সেদেশের কর্তৃপক্ষ তাকে ক্ষমা করে দেয়। ফলে ফাঁসির মঞ্চ থেকে শেষ মুহূর্তে ফিরে আসে ঐ পাকিস্তানি অপরাধী। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে এক টুইট বার্তায় তার পিতার এ হস্তাক্ষেপের কথা প্রকাশ করে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ টুইট বার্তায় জানান, শেষ মুহূর্তে তার বাবার (নওয়াজ শরীফ) সরাসরি হস্তক্ষেপে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ জুলফিকার আলির মৃত্যুদ- স্থগিত করেছে। এপি
ইন্দোনেশিয়ায় মাদকসংক্রান্ত অপরাধের দায়ে ১৪ ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথাছিল। এর মধ্যে চার জনের ফাঁসি কার্যকর হয়। বাকি ১০ জনকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা দেয় এবং এ ১০ জনের মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকও রয়েছে। বৃহস্পতিবার মাদক চোরাচালানের অভিযোগে রাতে একজন স্থানীয় এবং তিন বিদেশি নাগরিকের মৃত্যুদ- কার্যকর করে দেশটি। পাকিস্তানের নাগরিক জুলফিকার আলির পরিবারের পক্ষ থেকে বুধবার লাহোরে মৃত্যুদ-ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়।
চলতি সপ্তাহে ইসলামাবাদে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে পাকিস্তান সরকার এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে। কিন্তু কোনো কিছুতেই ফাঁসি কার্যকর থামানো যাচ্ছিল না। শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ফোন করে ফাঁসি ঠেকাতে সক্ষম হন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ