ট্রাম্প ভরসার যোগ্য নন : হিলারি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুধু পেশী আস্ফালন ও হম্বিতম্বি করলেই যে রাজনীতি হয় না তা প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটনকে দেখে শিখতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলাডেলফিয়ায় ডেমোক্র্যাটদের ন্যাশনাল কনভেনশনে হিলারির ভাষণ শুনে যে কেউ একথা বলবেন। রাজনীতির সঙ্গে হিলারি ক্লিনটনের সম্পর্ক প্রায় দুই দশকেরও বেশি। কখনও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্বামীর ছায়াসঙ্গী, কখনও বা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিদেশ সচিব। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সব দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু এবার উপলক্ষ আলাদা। আজকাল
ফিলাডেলফিয়ায় ডেমোক্র্যাটদের ন্যাশনাল কনভেনশনে মিশেল ওবামা থেকে শুরু করে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, হিলারির গুণগান গাইতে কসুর করেননি। কিন্তু তিনি নিজে কি বলছেন? ডোনাল্ড ট্রাম্প নামক আগুনের ছাইয়ে চাপা পড়ে যাবেন না তো? জানতে উৎসুক ছিল মার্কিনবাসী। জবাব মিলল সেই ফিলাডেলফিয়ার কনভেনশনেই। স্বামী বিল ও কন্যা চেলসিকে সঙ্গে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ালেন। গ্রহণ করলেন মনোনয়ন। বিলচেলসি বক্তব্য রাখার পর এগিয়ে এলেন তিনি। না, কোনো রাখঢাক করেননি সর্বদা মেপে কথা বলায় অভ্যস্ত হিলারি। বরং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আমেরিকা তার কথায় ওঠে বসে না। ট্রাম্পকে আক্রমণ করতে প্রথমেই বিভাজন নীতিকে বেছে নেন হিলারি। বলেন, ‘ট্রাম্প শুধু মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি করতে চান। গোটা বিশ্ব থেকে আমেরিকাকে আলাদা করতে চান। উনি একাই নাকি সব করে ফেলবেন! এও কি সম্ভব? আজ পর্যন্ত কি কেউ তা পেরেছে? নিজেকে সর্বেসর্বা দাবি করে ও কি দেশের সেনাবাহিনীকে অপমান করছে না? একজন সত্যিকারের আমেরিকান কখনওই শুধু নিজেকে নিয়ে ভাববে না। তার কাছে ‘আমির থেকে আমরা’ মহত্ব অনেক বেশি। আমেরিকা চিরকাল সকলের ছিল আর থাকবে। ট্রাম্পের মতো দেশের চারদিকে দেওয়াল তুলে ফেলা আমার লক্ষ্য নয়। আমার লক্ষ্য কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং অর্থনীতি মজবুত করা। যাতে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন সকলে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারব। আর কোন যুক্তিতে আমেরিকাবাসী ট্রাম্পকে ভোট দেবে? ও কি ভরসার যোগ্য? একটি টুইট দেখেই যে ব্যক্তি মাত্রাজ্ঞান হারায়, কোন ভরসায় তার হাতে পরমাণু শক্তির দায়িত্ব তুলে দেওয়া যায়?’ পারিবারিক তুলনা টেনেও ট্রাম্পকে নিশানা করেন হিলারি। বলেন, ‘অনেকেই আমাকে খুঁতখুঁতে বলেন। যেমন তেমন করে কাজ সারা আমার ধাতে সয় না। এটা পারিবারিক ধারা বলতে পারেন। কারণ আমার পরিবারের কোনো লোকের কস্মিনকালেও বড় বড় বিল্ডিং-এ ঝুলতে দেখা যায়নি। বরং জীবন গড়তেই সর্বদা বেশি মন দিয়েছি আমরা। একইভাবে দেশের প্রতিটি নাগরিক আমার কাছে নিজের পরিবারের মতো। তাদের খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রাখা আমার দায়িত্ব।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ