জঙ্গিবাদ : পুলিশের ব্লকরেইড ও মাঠ প্রশাসনের মিশন শুরু
আজাদ হোসেন সুমন : পুলিশের ব্লকরেইড আর মাঠ প্রশাসনের সচেতনতায় দেশ থেকে জঙ্গিবাদ অনেকটা কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন সরকারের নীতি নির্ধারকমহল ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। ফলে এ দুটো বিষয়ের উপর জোর দিয়ে সরকার জঙ্গিবাদ দমন কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে। তবে ব্লকরেইড বা মাঠ প্রশাসনের জঙ্গিবিরোধী তৎপরতায় জনসাধারণকে যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, সে লক্ষ্যে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এবং গতকাল শুক্রবারও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্লকরেইড পরিচালিত হয়েছে। এর কারণে রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানা খুঁজে পাওয়ায় এর গতি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ব্লকরেইড অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সবকটি বাহিনীর প্রধানকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় জনসচেতনতা তৈরিতে মাঠপর্যায়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, মাঠ প্রশাসনে জঙ্গিবিরোধী জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এ ব্যাপারে আইজিপি বলেছেন, সারাদেশে জঙ্গিবিরোধী ব্লকরেইড চলছে। দেশের মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এসব অভিযানে নিরীহ কোনো মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে না। কল্যাণপুরে অভিযানে হতাহতরা সবাই জঙ্গি। সেখানে সাধারণ কোনো মানুষ নেই।
তিনি বলেন, ব্লকরেইডে কল্যাণপুরে জঙ্গিরা ধরা না পড়লে তারা রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতা চালাত। তিনি ব্লকরেইড চলাকালে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোদাব্বির চৌধুরী বলেন, জঙ্গিবাদ একটা নেশার মতো। কোমলমতি ছেলেদের ব্রেনওয়াশ করে যারা এদের মাঠে নামাচ্ছে, সেই মাস্টারমাইন্ডদের বিরুদ্ধে এখন পরিকল্পিত অ্যাকশানে যেতে হবে। তিনি বলেন, একদিকে পুলিশি অভিযান অন্যদিকে জনসচেতনতা সৃষ্টি- দুটো একযোগে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করতে পারলে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা কঠিন কোনো বিষয় নয়। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম