কল্যাণপুর জাহাজবাড়ি মালিকের স্ত্রী কারাগারে ছেলেসহ চারজন রিমান্ডে
মাসুদ আলম : ঢাকার কল্যাণপুরের তাজ মঞ্জিলে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় গ্রেফতার বাড়ি মালিকের স্ত্রী মমতাজ পারভীনকে দুদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল শনিবার দুপুরে মিরপুর মডেল থানার এসআই বজলার রহমান দুই দিনের রিমান্ড শেষে মমতাজ পারভীনকে আদালতে হাজির করেন। কিন্তু রিমান্ড আবেদন না থাকায় ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন মমতাজকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মমতাজ পারভীনের পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে বিচারক আগামী ১ আগস্ট জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। এ ঘটনায় গ্রেফতার ওই বাড়ির মালিকের ছেলেসহ চারজন রিমান্ডে রয়েছে।
জঙ্গিদের তথ্য যাচাই-বাছাই না করে বাড়িভাড়া দেওয়ার অভিযোগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে গত ২৭ জুলাই আদালতে হাজির করলে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই অভিযোগে ২৮ জুলাই বাড়ির মালিকের ছেলে মাজহারুল ইসলামকেও দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। তার সঙ্গে ওই বাড়ি থেকে আটক মাহফুজুল আনসার, মমিন উদ্দিন এবং জাকির হোসেনেরও দুইদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
এদিকে কল্যাণপুরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে এসআই বজলার রহমান জানান, রিমান্ড শেষে মমতাজকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। তার কাছ থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো বলা যাবে না। বাসার মালিকের ছেলেসহ আরও ৪ জন রিমান্ডে রয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের কাছ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রয়োজনে তাদের আবারও রিমান্ডে আনা হবে। গত বৃহস্পতিবার মামলার এজাহার ঢাকা সিএমএম আদালতে পৌঁছানোর পর মহানগর হাকিম মো. সাজ্জাদুর রহমান পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে বুধবার রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামে পরিচিত ওই ভবনে গত ২৬ জুলাই পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে ৯ সন্দেহভাজন জঙ্গি মারা যায়। হাসান নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। পালিয়ে যায় একজন। এরপর ওই বাড়ির মালিকের স্ত্রী মমতাজ পারভীনকে আটক করে পুলিশ। তার স্বামীর নাম আতাহার উদ্দিন আহমেদ। সম্পাদনা: এম আলম