জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণায় তথ্য এসজিডি বস্তবায়নের পথে বাধা দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাব
জাফর আহমদ: শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও সুশাসনের অভাব বংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের পথে প্রধান বাধা। এ কারণে যত সহজে এমজিডি বাস্তবায়ন হয়েছে তত সহজে এসজিডি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি গবেষণায় এ সব তথ্য উঠে এসেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার যে সব উদ্যোগ নিয়েছে তার ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এমডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রতিফলন কতটুকু তা দেখতে হবে। ‘ওয়াল্ডওয়াইড গর্ভনেন্স ইন্ডিকেটরস’ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মত প্রকাশ ও জবাবদিহিতার বিবেচনায় ২০৪ এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৮। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সহিংসতার অনুপস্থিতির বিবেচনায় ২০৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭০ নম্বর। কার্যকর সরকারের বিবেচনায় ২০৯টি দেশের মধ্যে অবস্থান ১৬৪ নম্বর। নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার গুণমানের বিবেচনায় অবস্থান ২০৯ ্এর মধ্যে ১৭১ নম্বর। আইনের শাসন কার্যকরের ক্ষেত্রে ২০৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৫ নম্বরে। দুর্নীতি দমনের সক্ষমতার ২০৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭০ নম্বর।
ব্যবসা বাণিজ্যের নিবন্ধন নেওয়া ও কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশে খরচ ও পরিবেশের অবস্থাও ভাল না। বিশ্বের প্রায় সকল দেশের শেষে অবস্থান বাংলাদেশের। ‘ডুইং বিসনেস ২০১৬ গ্লোবাল কম্পিটিভনেস ইনডেক্স-২০১৬’ প্রতিবেদনে দেখা যায় সারা বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৪ নম্বর। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে এবং রুয়ান্ডার মত দেশে আদালতের মাধ্যমে একটি চুক্তি বাস্তবায়নে সময় লাগে ১০ মাস। বাংলাদেশে সেখানে সময় লাগে চার বছর। আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে প্রায় ৩১ লক্ষ মামলা। এসডিজি অর্জনের পথে এ সূচক বাধা বলে উল্লেখ করা হয়েছে এ সব প্রতিবেদনে।
এ সব ক্ষেত্রে যে সমস্যা রয়েছে তা উত্তরণের জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। তিনি বলেন, সরকারের রাজনৈতিক মিশন হ্েচ্ছ ২০২১ সালের মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। এজন্য সরকারের পক্ষ যা যা করণীয় সব উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকার প্রবৃদ্ধি অর্জনের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলে সকল সূচকের উন্নতি হবে। অর্জিত হবে এসডিজি। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম