শিশুদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আইএস রয়েছে ৩১ হাজার গর্ভবতী নারী
আমির পারভেজ : আগামী প্রজন্মের জঙ্গি গড়ে তোলার প্রক্রিয়া হিসেবে বিদেশি সদস্যদের সন্তানদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। অন্তত ৫০ জন ব্রিটিশ শিশু-কিশোর ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে যুক্ত রয়েছে। ডেইলি মেইল।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে ‘চিলড্রেন অব ইসলামিক স্টেট’ নামে লন্ডনভিত্তিক সন্ত্রাসবিরোধী থিংক-ট্যাংক কাইলিয়াম ফাউন্ডেশনের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএস ঘাঁটিতে অন্তত ৩১ হাজার গর্ভবতী নারী রয়েছেন। এই বিপুলসংখ্যক নারীর ব্যবহার করে আইএস পরবর্তী প্রজন্মের একটা বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলার অভিনব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। ইউরোপোল জানিয়েছে, আইএস এলাকা থেকে নেদারল্যান্ডসে আসা ব্যক্তিদের ৪০ শতাংশই নারী। তাদের অনেকের স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে, তারা পুনর্বিবাহে বাধ্য হয়েছেন বলে ওই নারীরা উল্লেখ করেছেন। ইউরোপোলের তথ্যমতে, পাঁচ সহস্রাধিক ইউরোপীয় আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত হতে সিরিয়া ও ইরাকে গিয়েছেন। তবে এর পরিমাণ আরও অনেক বাড়তে পারে বলে তারা সতর্ক করেছেন।
আইএসের এক ভিডিওতে চার বছর বয়সী এক ব্রিটিশ শিশুকে মৃত্যুদ- দিতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, আইএস অধ্যুষিত এলাকায় শিশুদের সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়েছে। কোনো কোনো শিশুকে সেখানে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কেউ বা সেখানে আটকা পড়েছে। আবার আইএসের বিদেশি সদস্যদের সন্তানরাও ওই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে সন্ত্রাসবাদের ওপর বার্ষিক প্রতিবেদনে ইউরোপোল জানিয়েছে, আইএসের শাসনে বেড়ে ওঠা শিশুদের নিয়ে তারা বিশেষভাবে চিন্তিত। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আইএস তাদের প্রপাগান্ডায় প্রায়ই দেখায়, তারা আগামী প্রজন্মের বিদেশি সন্ত্রাসী গড়ে তুলছে। যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য একটি ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা হুমকি।’
আইএসের কথিত রাজধানীতে ধারণ করা ‘খেলাফতের শিশু’ নামে এক ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচ বছরের শিশুরাও আইএসের সামরিক পোশাক পরে আছে। আর তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, শিশু-কিশোরদের মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘আইএসের কাছ থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিরা ইইউ-র নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ফেরত আসা ব্যক্তিরা আইএসকে সমর্থন, আর্থিক সহায়তা, কর্মী সংগ্রহ এবং জঙ্গিকরণে তৎপর হতে পারেন। তারা আগামী দিনের সহিংস জঙ্গি গঠনের রোল মডেল হিসেবেও কাজ করতে পারেন।’ সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ