সুন্দরবনে বাঘ হত্যা ও চোরাচালান সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
এস এম নূর মোহাম্মদ : ইন্টারপোলের রিপোর্টের ভিত্তিতে সুন্দরবনের বাঘ হত্যা ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ ব্যাপারে জানতে চান।
পরিবেশ, বন ও স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিআইজি খুলনা, ডিজি কোস্টগার্ড, খুলনার জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় বন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ইন্টারপোলের করা ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে আদালতে।
এছাড়া চোরাচালান রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ‘বাঘ হত্যা ও চোরাচালানে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গতকাল প্রতিবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী খান। পরে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয় সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার সরকার দলীয় এমপি, ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন চেয়ারম্যানসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা এই কাজের সঙ্গে জড়িত। এতে আরও বলা হয়, ২০০৪ সালের বাঘ শুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বাঘ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা কমে ১০৬টিতে দাঁড়িয়েছে।
ইন্টারপোলের প্রতিবেদনে বাঘ হত্যা এবং ডাকাত দলগুলোকে অস্ত্র সরবরাহকারী ৩২ ব্যক্তির নাম এবং বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এই তালিকায় সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের নাম উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী আজম ওরফে টিটু, একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মাসুদুল আলম, রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আকবর আলী গাজীর নামও রয়েছে তালিকায়। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম