২৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা
বিশ্বজিৎ দত্ত : কুড়িগ্রাম ও বাহাদুরাবাদের সংবাদাতারা বন্যাক্রান্ত মানুষের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এবারের বন্যা তাদের দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। গতকাল এ বিষয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, স্থানীয়দের অনুমান সত্য। বন্যার ভয়াবহতা থাকলেও ক্ষতি ভয়াবহ নয়। কারণ পানি ইতোমধ্যেই নামতে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে নিচের দিকে পানি বাড়বে। কিন্তু আশার কথা উভয়স্থানেই পানির উচ্চতা কমার দিকে। তাই বন্যাটি স্থায়ী হবে না ।
তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের এবারের বন্যা ১৯৮৮ সালের বন্যার রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। তার মানে গত ২৮ বছর পর বাংলাদেশে একটি ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, বাহাদুরাবাদ ও কুড়িগ্রামে ১৯৮৮ সালে বন্যার পানির উচ্চতা ছিল, ২০ দশমিক ৬২ শতাংশ। এবারের পানির উচ্চতা হয়েছে ২০ দশমিক ৭১ শতাংশ। যা ওই সময়ের চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার বেশি। তিনি বলেন, ২০০৪ ও ২০০৭ সালে আরও দুটি বন্যা হয়েছে তাতেও পানি এই সময়ের চেয়ে বেশি হয়নি।
১৯৮৮ সালে বন্যার ক্ষতির চেয়ে এবারে পানি বেশি হলেও ক্ষতি কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এবারের বন্যার প্রধান কারণ অতিবৃষ্টি। ভারত , নেপাল ও চীনে এবার অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। সেই পানি আমাদের ৩টি প্রধান নদী বিশেষ করে পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই ৩ নদীর তলা ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানির উচ্চতা বেশি দেখাচ্ছে । তাছাড়া ১৯৮৮ সালের পরে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমানোর বিষয়ে অনেক কাজ করা হয়েছে। মানুষের যোগাযোগ ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।
ত্রাণের বিষয়ে বলেন, বন্যার সময় মানুষ ও প্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয়টা সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। এটি করা হয়েছে। তারপরে রয়েছে খাবার ও ওষুধ। এলাকায় পর্যাপ্ত চাল ও ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে আগে যেমন এগুলোর মিস ইউজ হতো। এখন এটা অনেকটাই অসম্ভব। কারণ মানুষের কাছে যোগাযোগটা রয়েছে। এছাড়া সরকারের অনেক ধরনের সুরক্ষা কর্মসূচি আগেই রয়েছে। যা থেকেও অতিদরিদ্ররা উপকার পাচ্ছে। আর কোথাওতো যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘিœত হয়নি। সুতরাং ত্রাণ পাঠাতে বা মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে না। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি