নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্ট সক্ষম
মে. জে. (অব.) আব্দুর রশিদ
বাংলাদেশে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু এই নিরাপত্তা ঝুঁকি অন্য অনেক দেশের মতো অনিয়ন্ত্রণ যোগ্য নয়। বাংলাদেশ সেই হিসেবে যথেষ্ট নিরাপদ বলা চলে। এই মুহূর্তে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই এমন দেশ খুব কম পাওয়া যাবে। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকেই। কিন্তু সেই ঝুঁকিকে কতটা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আমাদের রয়েছে তার ওপর নির্ভর করছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাফল্য। সেদিক থেকে আমরা সফলও বলা চলে।
বাংলাদেশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হওয়ার কারণে ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে, মতাদর্শগতভাবে মগজদোলাই করা, সেই চেষ্টা বাংলাদেশে চলমান রয়েছে। যাকে আমরা রেডিক্যালাইজেশন বলি। রেডিক্যালাইজেশনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হলো অন্য বিষয়। রেডিক্যালাইজেশন মতাদর্শকে নিয়ে করার অনেক চিহ্নই বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এখানে উগ্রবাদী মতাদর্শের চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে গোপন রাজনৈতিক দল বা নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দলও এসব কিছুর পেছনে কাজ করে।
এখানে জঙ্গিবাদের যে কৌশল এবং জঙ্গিরা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেটি খুব পরিবর্তনশীল। জঙ্গিদের সঙ্গে পরিবর্তনশীল জঙ্গিদের সঙ্গে ম্যাচ করার জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকেও সবসময় প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাত্রাও বাড়াতে হয়। বাংলাদেশও হয়তো যতটুকু প্রযুক্তি সুবিধা থাকা উচিত ছিল, সেটির পেছনে হয়তো আমরা ততটা বিনিয়োগ করতে পারিনি একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে। সামর্থ বৃদ্ধির জন্য আমাদের বাজেটের সংকট আছে, নিরাপত্তাবাহিনীর সংখ্যায়ও সংকট আছে। তবে তাদের সামর্থ বাড়ছে।
আমি যদি এখন পাঁচ বছর আগের পুলিশের সক্ষমতার দিকে তাকাই, তাদের সক্ষমতা এখন বেশি। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে দেশের সব নিরাপত্তাবাহিনীকেও কাজে লাগানো হয়নি। সামরিক বাহিনীও তো মাঠে নামেনি। জঙ্গি নির্মূলে নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্ট সক্ষম। সক্ষম বলি এ কারণেই যে, দেশে জঙ্গি হামলা এবং নিহতের যে সংখ্যা এত কম তা ভেরি সিগনেফিকেন্ট বিশ্বের তুলনায়। তা সম্ভব হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর কারণেই।
পরিচিতি : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন