যাত্রা শুরু দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্রবন্দরের
নীনা আফরীন, পটুয়াখালী : বহির্নোঙ্গরে প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি ফরচুন বার্ড থেকে পণ্য খালাসের মধ্য দিয়ে পায়রা সমুদ্রবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হলো সোমবার। আগামী ১৩ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। আর ২০১৮ সাল নাগাদ এটি পুরোপুরিভাবে চালু হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পায়রা বন্দরের সচিব রেজাউল করিম জানান, পদ্মা সেতু নির্মাণের পাথর নিয়ে রামনাবাদ চ্যানেলের বহির্নোঙ্গরে বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি ফরচুন বার্ড ৫৩ হাজার টন পাথর নিয়ে বেলা ৩টায় পৌঁছার পরই সেখান থেকে লাইটার জাহাজে করে নদী পথে পণ্য চলে যায় পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে। তিনি বলেন, পায়রাবন্দর ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে পণ্য আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের বিশেষ সুবিধাও দিতে যাচ্ছে সরকার। ফলে বন্দরটি চালুর মধ্য দিয়ে নিরাপদে নদীপথে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
এমভি ফরচুন বার্ডের মালিক সিলেটের আমদানিকারক জালাল উদ্দিন জানান, আমদানি করা পাথরগুলো মূলত ‘ক্র্যাশিং স্টোন’। এর বড় অংশই পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য চীন থেকে আনা হয়েছে।
পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগমের সভাপতিত্বে সম্প্রতি ‘পায়রা সমন্বিত উন্নয়ন কার্যক্রম ও অগ্রগতি’ শীর্ষক সভায় পায়রাবন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে প্রযোজ্য শুল্ক-করাদি বা শুল্কছাড়ের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি আলোচিত হয়। পায়রাবন্দর এলাকায় বন্দর, জেটি, কন্টেইনার টার্মিনাল, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী ১৩ আস্পট নৌ পরিবাহনমন্ত্রী শাজাহান খান বন্দরের আনুষ্ঠানিক কাজের উদ্বোধন করতে পারেন। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে পায়রাবন্দর চালু হবে। তবে বন্দরটি ২০১৮ সালের মধ্যে পুরোপুরি চালু হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ২০১৮ সালের মধ্যে এর কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা