• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

প্রথম পাতা

‘একমাসে তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে অনেকটাই’

প্রকাশের সময় : August 2, 2016, 12:45 am

আপডেট সময় : August 2, 2016 at 12:45 am

বিপ্লব বিশ্বাস : গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হত্যাকা-ের একমাস পূর্ণ হয়েছে গতকাল। এ উপলক্ষে পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলছেন, একমাসে গুলশান হত্যাকা-ের তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে অনেকটাই। তবে তরুণ প্রজন্মের উগ্রবাদের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়াটা সমাজের জন্য উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশি কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা প্রত্যাশা করেছেন তিনি। আর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের মতে, তরুণ প্রজন্মের উগ্রবাদী ঝোঁক বন্ধে পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘একজনকে হত্যা করলে সে বেহেস্তে চলে যাবে এই মানসিকতাটা হলো এখন উদ্বেগের বিষয়। যেন কাউকে ভুল বুঝিয়ে তরুণ কিশোর-কিশোরীকে যেন বিপথে না নিয়ে যেতে পারে সেই জন্য আমরা দেশের জনগণকে ও বিভিন্ন কমিটিকে কাজে লাগাতে চাচ্ছি। যেন তারা এ বিষয়ে সচেতন হয়।’

অধ্যাপক এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা সর্বস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সচেতন হতে বলেছি। যেন তারা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের বুঝায়। তারা যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে।’ অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সন্তানেরা যেন কোনো খারাপ পথে না যেতে পারে সেই ব্যাপারে সবসময় খেয়াল রাখতে পারে। তারা কি করে, কোথায় যায় সেই সব বিষয়ে তাদের খেয়াল রাখতে হবে।’ গুলশান ঘটনার পর নতুন করে সাজানো হয়েছে পুরো রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোড়ে মোড়ে বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট, বেড়েছে টহল।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘সাম্প্রতিক দুই ঘটনার পর পুরো রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অফিস ও আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি ব্যাংক ও স্বর্ণের দোকানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে।’ গুলশান হামলার কথা মাথায় রেখে নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও দাবি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের। এক মাসে আগে এই গুলশানে ছিল জীবনের কোলাহল ও মানুষের আনাগোনা। কিন্তু পহেলা জুলাই নৃশংস হামলা শুধু গুলশান নয় পুরো দেশকে বদলে দিয়েছে পুরো দেশের নিরাপত্তার ছক। তবে সবারই প্রত্যাশা উগ্রবাদের চোখ রাঙানি নয় অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশের জয় হবে শুভ বুদ্ধির।

১ জুলাই রাতের প্রথম প্রহর। গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করেছে সন্ত্রাসীরা। এমন খবরে কেঁপে উঠে গোটা দেশ। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অসংখ্য সদস্য। রাতভর নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পর ভোরে ১৩ মিনিটের অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টের’ মাধ্যমে শেষ হয় জিম্মি সংকট। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে হত্যার ঘটনায় অনেকটাই বদলে গিয়েছিল শহুরে নাগরিক জীবন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়ার তথ্য নাড়িয়ে দেয় গোটা সমাজকে। আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমাজের সর্বস্তরের সহযোগিতার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)