এস এম নূর মোহাম্মদ : রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও সিটি করপোরেশনের করা দুটি লিভ টু আপিল শুনানি শেষে গতকাল সোমবার তা খারিজ করে দেন আদালত। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ একটি লিভ টু আপিল ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে এবং অন্যটি ‘তামাদি’ হয়েছে মর্মে খারিজ করে দেন। ফলে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নিতেই হচ্ছে অননুমোদিত সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এর আগে আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য রক্ষার নির্দেশনা চেয়ে সেখানকার দুই বাসিন্দা এমএ মাসুদ এবং এমএ মতিন ২০১১ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সে সময় প্রাথমিক শুনানি শেষে ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় নতুন করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। পরে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১২ সালে হাইকোর্ট রায় দেন।
রায়ে বলা হয়, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের সময় দিয়ে নোটিস দিতে হবে। তবে ধানমন্ডি-২, ২৭ নম্বর সড়ক, সাতমসজিদ ও মিরপুর সড়ককে ইতোপূর্বে বাণিজ্যিক এলাকা ঘোষণা করায় সেখানে থাকা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে জানানো হয় রায়ে। এরপর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয় রাজউক। আর ধানমন্ডি ১১ (এ) সড়কে থাকা ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলকে তিন বছরের মধ্যে সরিয়ে নিতে বলা হয়।
পরবর্তিতে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ম্যাপললিফ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আলাদাভাবে লিভ টু আপিল করে। শুনানি শেষে যা গতকাল খারিজ করেন আপিল বিভাগ। আদালতে লিভ টু আপিলকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. আবুল বাশার। অপরদিকে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি