আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড ক্যাজেনোভ জানিয়েছেন, ইসলামের নামে উগ্রবাদে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ওইসব মসজিদ বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘প্রেয়ার হল কিংবা মসজিদ যা-ই হোক না কেন, এখানে বিদ্বেষ ছড়ানোর কোনও স্থান নেই। এছাড়া, প্রজাতান্ত্রিক নীতি, বিশেষত নারী-পুরুষের সমতায় যাদের বিশ্বাস নেই, তাদের কোনও স্থান নেই ফ্রান্সে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণে গত কয়েক মাসে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার মধ্যে আমি এসব মসজিদ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ পর্যন্ত ২০টির মতো মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে এবং আরও কিছু বন্ধ করা হবে।’ ফ্রান্সের মুসলিম কাউন্সিলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ক্যাজেনোভ এসব কথা বলেন।
একটি ফরাসী বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, ফ্রান্সে প্রায় আড়াই হাজার মসজিদ ও প্রেয়ার হল রয়েছে। এর মধ্যে ১২০টিতে উগ্রবাদী সালাফি মতবাদে পরিচালিত।
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিউনিসিয়ান বংশোদ্ভূত একজন মুসলিম নিস শহরে বাস্তিল দিবসের উৎসবে ট্রাক চাপা দিয়ে ৮৪ জনকে হত্যা করে। এরপর নর্মান্ডিতে এক যাজককে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই ক্যাজেনোভ ইসলামি ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ক্যাজেনোভ আরও জানিয়েছেন, উগ্রবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১২ সাল থেকে অন্তত ৮০ জনকে ফ্রান্স থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হবে।
ফ্রান্সের মসজিদগুলোতে বিদেশ থেকে আসা অর্থ সহায়তা উগ্রবাদী চিন্তাধারা উৎসাহিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে। ক্যাজেনোভ বলেছেন, তিনি মসজিদে অর্থের ব্যবহারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চান।