আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কে বড় তার ফয়সলা করতে গিয়ে রক্ত ঝরল খাস ডাউনিং স্ট্রিটের ফুটপাথে। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি আর পররাষ্ট্র দফতরের বাড়ির দুই সরকারি বেড়ালের মধ্যে লড়াই। শেষ পর্যন্ত দু’’জনেই আহত হয়ে হাসপাতালে। টেলিগ্রাফ
নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রেক্সিট বিরোধী ছিলেন। আর নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রেক্সিটপন্থীদের ম্যাসকট। দুই বেড়াল সেই পুরনো শত্রুতার হিসেব নিকেশ করতেই ময়দানে নেমেছিল কিনা, সেই জল্পনাতেই ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলো এখন ব্যস্ত। ২০০৭ সাল থেকেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ঠিকানা ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের স্থায়ী বাসিন্দা ‘ল্যারি’ বেড়াল। ১০ নম্বর বাড়িকে ইঁদুরমুক্ত রাখার সরকারি দায়িত্বে নিযুক্ত সে খোদ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের আদেশে। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে তার খোরপোশের খরচ আসে। আর ‘পামারস্টোন’ হলো ১১ ডাউনিং স্ট্রিটের নবনিযুক্ত ‘মুখ্য ইঁদুর ধরিয়ে’। পাশাপাশি বাড়ি, তাই রেষারেষি শুরু হয় পামারস্টোন আসার পর থেকেই। গেল সপ্তাহে সেই ঝামেলা চরমে ওঠে, বাড়ির পাঁচিল থেকে রাস্তায় নেমে মারামারি শুরু করে দুই বেড়াল। প্রথমে চেঁচামেচি, তার পর একেবারে হাতেপায়ে।
আগের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বাড়ি ছাড়ার সময়ই বলেছিলেন, ল্যারি বড্ড মারকুটে! তিনি তাকে সঙ্গে নিয়ে গেলেই ডাউনিং স্ট্রিট পাড়ার মঙ্গল। কিন্তু সরকারি বেড়াল ওভাবে চাইলেই নিয়ে যাওয়া যায় না। এবার পররাষ্ট্র দপ্তরের সরকারি বেড়ালকে জখম করার পর সরকারি ভাষ্য কী হয়, তার অপেক্ষায় সবাই।