আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের নীতির কারণে বিতর্কিত ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশটির প্রধান দুটি দলের একটিতে নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তার প্রথম করণীয় সম্পর্কে জানিয়েছেন তিনি। তার হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় হিলারির চিফ অব স্টাফ জেরেমি ব্যাশ। এখন তিনি হিলারির প্রচারণায় পররাষ্ট্রনীতির উপদেষ্ঠা হিসেবে কাজ করছেন। এক সাক্ষাৎকারে জেরেমি ব্যাশ জানিয়েছেন, হিলারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করা। টেলিগ্রাফ
হিলারি ক্লিনটন বর্তমানে এফবিআইয়ের তদন্তের সম্মুখীন। লিবিয়া যুদ্ধের জন্য হিলারির পররাষ্ট্র নীতিকে দায়ী করা হয়। হিলারির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, হিলারির পরররাষ্ট্র নীতির জন্যই মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জন্ম হয়েছে। হিলারির আরেক সমালোচক উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ তাকে যুদ্ধবাজ শকুন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় আছেন আসাদ। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকার দেশটিতে পূর্ণ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। গৃহযুদ্ধে দেশটি প্রায় ধ্বংসের সম্মুখীন। এমতাবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে আসাদ সরকারের দৃঢ় সম্পর্ক থাকার পরও নিজের নীতি পর্যালোচনা করে আসাদ সরকারকে উৎখাতের কথা জানিয়েছেন।