রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ ও রতন প্রধান, শ্রীপুর (গাজীপুর) : সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে যমুনা নদী থেকে ভাসমান এক শিশু ও দুই নারীর উদ্ধারকৃত মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের হাদিকুল ইসলামের স্ত্রী মেহেরুন আক্তার (৫০), বাদল মন্ডলের স্ত্রী নাসরিন আক্তার (২৫) ও নাসরিনের বোন লিমি আকতার ও জাহাঙ্গীরের মেয়ে জাইমা খাতুন (৫)। তারা হত্যাকা-ের শিকার বলে পুলিশের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করার পর হত্যাকা-ের প্রকৃত রহস্য বেড়িয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার চালা অফিস পাড়ার আল আমীন (৩২), একই জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নয়ন (২০) ও প্রাইভেটকার চালক জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পবাহার নোয়াপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম (২২)। আল আমীন ও নয়ন শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকার রিজভী-মীম-নিশি বস্ত্রালয় এন্ড ফার্নিচার স্টোরের কর্মচারী। রবিউল ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মিজানুর রহমানের প্রাইভেটকারের চালক।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, গত রোববার বেলা ১১টার দিকে জাইমাকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে শিশুসহ ওই দুই নারী শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। নাসরিন দুপুর ১টার দিকে তাদেরকে নিয়ে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ির ওই স্টোরে যায়। স্টোরের কর্মচারী আল আমীন নাসরিনের পরকীয়া প্রেমিক। ওই স্টোরে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আল আমীন এক পর্যায়ে নাসরিনকে শ^াসরোধে হত্যা করে। পরে ঘটনা জানাজানির ভয়ে কর্মচারীদের নিয়ে ওই দু’জনকেও শ^াসরোধে হত্যা করে।
হত্যার পর তিনজনের মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে। পরে স্টোরের মালিক মিজানুর রহমানের প্রাইভেটকারে উঠিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানার খাজা খানজাহান আলী মেডিকেল কলেজের পাশে যমুনা নদীতে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ ফেলে রেখে রাতেই শ্রীপুরে ফিরে আসে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হত্যায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি