• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

প্রথম পাতা

দুই ‘মাস্টারমাইন্ড’ এর নেপথ্য কাহিনী

প্রকাশের সময় : August 3, 2016, 12:28 am

আপডেট সময় : August 3, 2016 at 12:28 am

আজাদ হোসেন সুমন, ইসমাইল হোসেন ইমু : জঙ্গিদের মূলহোতা তামিম আহমেদ চৈৗধুরী কানাডার উইন্ডসর এলাকার বাসিন্দা। ৩০ বছর বয়সী তামিম ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ। গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলায় ঘরছাড়া তরুণ-যুবকদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিখোঁজ ১০ জনের যে প্রথম তালিকা দিয়েছিল, তাতে সিলেটের তামিম আহমেদ চৌধুরীর নাম আসে। আইএসের বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে জানা যায়- সে সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখার সমন্বয়ক। সম্প্রতি আইএসের মুখপাত্র দাবি করে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। গুলশান হামলার অর্থ সহায়তা থেকে শুরু করে হামলার নেপথ্যে মূলনায়ক ছিল এই তামিম চৌধুরী। কল্যাণপুরে আস্তানা আবিষ্কার ও ৯ জঙ্গি নিহত হওয়ার ঘটনায় আহত অবস্থায় গ্রেফতারকৃত জঙ্গি বাইক হাসানের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে পুলিশ আরো অনেক তথ্য জানতে পারে। তামিম চৌধুরী সম্প্রতি একাধিকবার কল্যাণপুরের তাজ মঞ্জিলে গিয়ে বৈঠক করেছে। সে এখন ভারতে আছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ধারণা করছে। যে কারণে সম্প্রতি এদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে ভারত সরকারের কাছে সহায়তা চেয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং অবশ্য সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে গতকাল সংবাদ সন্মেলনে এই প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেছেন, এরা দেশে আছে নাকি দেশের বাইরে আছে সেটা তিনি জানেন না।

জানা গেছে, তামিম চৌধুরী সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মজিদ চৌধুরীর নাতি। মজিদ চৌধুরী একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে স্থানীয়দের তথ্য। তামিমের বাবা শফি আহমদ জাহাজে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি সপরিবারে কানাডায় পাড়ি জমান।

গত দুই বছরে বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, লেখক-প্রকাশক, বিদেশি নাগরিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু হত্যায় দায়স্বীকারকারী জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের গডফাদার এই মেজর জিয়া। আইএস ও আল কায়েদার পক্ষ থেকে এসব ঘটনার দায় স্বীকার করা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, আনসারুলাহ বাংলা টিম নাম বদলে আনসার আল-ইসলাম বাংলাদেশ হিসেবে এবং আরেক নিষিদ্ধ দল জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এসব হত্যাকা- ঘটাচ্ছে। সম্প্রতি আবারও জিয়ার নাম আলোচনায় আসে। আর সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া হয়তো আনসার আল ইসলামের সঙ্গে আছেন। সম্প্রতি পুলিশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, মেজর জিয়া আতœগোপনে থেকে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল বাংলাদেশ টিম পরিচালনা করছে। সূত্র জানায়, হিজবুত তাহরির, জেএমবি, আনসারউল্লা বাংলাটিম ও আনসার আল বাংলাদেশ- এসব নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোর উদ্দেশ্য একই। তারা জঙ্গিবাদ কায়েম করার লক্ষ্যে যখন যে নাম ধারণ করার প্রয়োজন পড়ে সে নামেই তারা আত্মপ্রকাশ করে এবং ওই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে। মেজর জিয়া পরিচালনাধীন আনসার আল বাংলাদেশ মূলত জেএমবির নতুন সংস্করণ।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে সরকার উৎখাতে ধর্মান্ধ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার একটি অভ্যত্থান পরিকল্পনা নস্যাৎ করার খবর  দেয়। তখনই প্রবাসী জনৈক ব্যবসায়ীর মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হকের নাম আসে এবং ওই অভ্যুত্থান চেষ্টার মূল পরিকল্পনাকারী বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ  থেকে বলা হয়।  অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই জিয়ার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। জিয়াকে ধরতে সেই সময় পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকায় জিয়ার শ্বশুর মোখলেছুর রহমানের বাসায় দফায় দফায় অভিযান চালায় পুলিশ। রাজধানীর কয়েকটি স্থানেও জিয়ার খোঁজে চলে অভিযান। কিন্তু আজও জিয়া রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। মেজর জিয়ার শাশুড়ি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা হামিদা বেগম সেই সময় গণমাধ্যমকে জানান, জিয়া পটুয়াখালীর বাসায় কখনো আসেনি। পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে- জিয়া আতœগোপনে থাকলেও তার খোঁজে বহু সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। সে খুব শিগগিরই ধরা পড়বে বলে আশাব্যক্ত করেছেন নগর পুলিশের (অপরাধ বিষয়ক) যুগ্মকশিনার কৃষ্ণপদ রায়।  সম্পাদনা: এএইচসি

 

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)