
আজাদ হোসেন সুমন : জঙ্গি কর্মকা-ে নেপথ্য নায়কের ভূমিকা পালনকারী গুলশান হামলার ২ হোতাকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছেÑ কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি তামিম চৌধুরী ও ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার পরিকল্পনাকারী বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক। এ দুজনকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আইজিপি।
গতকাল পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়ে আইজিপি বলেন, মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী নিউ জেএমবির নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই তামিম চৌধুরীর পর যারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রধান তাদেরও আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
জেএমবি ছাড়া আরেকটা গ্রুপ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেটার নাম আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া। পুলিশ তামিম ও জিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে জানিয়ে এ কাজে জনগণের সহযোগিতা চান আইজিপি। তিনি বলেন, যদি দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার জন্য কেউ সহায়তা করেন কিংবা গ্রেপ্তার করে জানান, তাহলে প্রত্যেকের জন্য আমরা ২০ লাখ টাকা করে দেব। সংবাদদাতা ও তথ্যদাতার পরিচয় গোপন থাকবে।
ওই দুইজন এবং তাদের পরবর্তী নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করা গেলে দেশে জঙ্গি তৎপরতা একেবারে কমিয়ে আনা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আইজিপি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তারা এখন কোথায় তা পুলিশ নিশ্চিত নয়। দেশে থাকতে পারে বা দেশের বাইরে থাকতে পারে। মোস্ট ওয়ান্টেড এ ২ মাস্টারমাইন্ডকে ধরা গেলে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল প্রক্রিয়া একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আইজিপি মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি জাভেদ পাটওয়ারি, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি নুরুজ্জামান, ডিআইজি প্রশাসন বিনয়কৃষ্ণবালা, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ও যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায়সহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা