দীপক চৌধুরী : কল্যাণপুরে জঙ্গিদের পরিকল্পিত অবস্থান, গুলশানের হলি আর্টিজানে নজিরবিহীন সন্ত্রাস, শোলাকিয়াসহ সাম্প্রতিক সব জঙ্গিহামলার মূল ‘দুই’ হোতার নাম পুলিশ ঘোষণা করলেও বাকি দশ ‘মাস্টারমাইন্ড’ আছে গোয়েন্দা নজরদারিতে। তাদের পাঁচজন রাজনীতি সংশ্লিষ্ট, চারজন যুদ্ধাপরাধীর সন্তান, একজন ব্যবসায়ী। একাধিক পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
‘মাস্টারমাইন্ড’দের কয়েকজনের অবস্থান ও গতিবিধির বিষয়গুলোর উপর বিশেষভাবে চোখ রাখছে পুলিশও। বিভিন্ন নাশকতামূলক ঘটনার আগে ও পরে তাদের ৪ জন বিদেশে গেলেও আবার দেশে এসেছে। তবে এখন তারা আবার বিদেশে চলে যেতে পারেÑ এ আশঙ্কায় বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে তাদের একাধিক পাসপোর্ট নম্বর ও নাম-ঠিকানা দিয়ে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, জেএমবির অধিকাংশ অর্থায়ন বিদেশ থেকেই হয়ে থাকে। এর সঙ্গেও তারা কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকতে পারে। মাস্টারমাইন্ডের দুজন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের (এবিটি) সহযোগী সমন্বয়কের কাজ করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। মাস্টারমাইন্ডদের পাঁচজনের রাজনীতি সংশ্লিষ্টতা আছে, চারজন যুদ্ধাপরাধীর সন্তান। বাকি একজন ব্যবসায়ী। যুদ্ধাপরাধীর সন্তান হিসেবে পরিচিত চারজন ছাড়া বাকি ছয়জন সিংহভাগ সময় অবস্থান করেন দেশের বাইরে। এই মাস্টারমাইন্ডের কয়েকজনকে কানাডা প্রবাসী বলেও গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে। তারা নাকি জামায়াত আর বিএনপির রাজনীতির ঘোর সমর্থক। বর্তমানে বাজারে চালু রয়েছেÑ ‘জামায়াতে ইসলামী’ এখন বিএনপি জোটের বিরাট সমস্যা। এ দল আর বিএনপির সম্পদ নয় বরং বোঝা। তাই খুব দ্রুতই এ বোঝাকে ঘাড় থেকে নামিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জামায়াতকে বাদ দিয়ে তিনি জঙ্গিবিরোধী ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়তে চান শিগগিরই। এসব খবর কয়েকজন মাস্টারমাইন্ড স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে না। তাদের ধারণা বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক শক্তি। এই শক্তির‘ ছায়া’ এখন সরে যাবে তা চায় না তারা । সম্পাদনা : আনোয়াররপর