প্রিয়াংকা আচার্য্য : তুরস্কের জাতীয় বিজ্ঞান গবেষণা কাউন্সিলে পুলিশি অভিযানের বিষয়টি গতকাল বুধবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গত মাসে সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার তদন্ত হিসেবে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানা গেছে।
তুরস্কের বেসরকারি চ্যানেল এনটিভির এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বুধবার জানানো হয়, কোক্যাইল প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ‘সায়েন্টিফিক অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল অব তুর্কি’ (তুবিতাক)-এর অফিসে পুলিশ অভিযান চালায় এবং ‘অনেক’কে গ্রেফতার করে। অভিযানটি রোববার চালানো হয় এবং গ্রেফতারকৃতদের সংখ্যার বিষয়টি বিস্তারিত জানা নেই বলে কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
এই কাউন্সিল বিজ্ঞান গবেষণা প্রকল্পের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি খাতে দেড় হাজারের অধিক গবেষককে তহবিল দেয় বলে এর ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে।
তুরস্ক সরকার সাম্প্রতিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ফেতুল্লাহ গুলেনকেই দায়ী করে আসছে। গুলেনের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে তুরস্কে এ পর্যন্ত ৬০ হাজারের অধিক ব্যক্তিকে আটক, বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এদের মধ্যে সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিচারকসহ শিক্ষকরাও রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোগানের অভিযোগ, গুলেন তাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট এবং সঠিক প্রমাণাদি সরবরাহ করলেই গুলেনকে হস্তান্তর করা হবে। সেনা অভ্যুত্থানের পরপরই গুলেন বলেন, এ অভ্যুত্থান এরদোগানবিরোধীদের দমন করার জন্য এরদোগানেরই ষড়যন্ত্র।
গত ১৫ জুলাই রাতে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে। কিন্তু এরদোগানের আহ্বানে সরকার সমর্থকরা রাস্তায় নেমে ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। এ ঘটনায় ২৩০ জন নিহত এবং হাজারো মানুষ আহত হয়। সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা