ইমরুল শাহেদ : পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার বিকেলে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এসময় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তার বিমানটি যখন অবতরণ করে তখন বিমানবন্দরের বাইরে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রায় দুই হাজার সদস্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল। তাদের শ্লোগানের বিষয় ছিল কাশ্মিরের অস্থিতিশীলতা। তবে পাকিস্তান সরকার রাজনাথ সিংয়ের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাকে ‘প্রেসিডেন্টিয়াল-লেভেল সিকিউরিটি’ দেওয়া হয়। তিনি বিমানবন্দরে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রায় দুই’শ কমান্ডো তার নিরাপত্তায় ছিল। এর আগে রাজনাথ সিংয়ের নিরাপত্তার বিষয়ে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তাতে সভাপতিত্ব করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।
সার্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক সম্পর্কে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দিনের স্থায়ী এই বৈঠকে রাজনাথের উপস্থিতি তাদের কাছে নিন্দনীয়। শুধু হিজবুল মুজাহেদীন নয়, হুরিয়াত সংশ্লিষ্ট সব গোষ্ঠী, ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল (ইউজেসি) এবং অন্যান্য গ্রুপ রাজনাথের এই বৈঠকে যোগদানের সমালোচনা করেন। এছাড়া পাকিস্তান ন্যাশনাল প্রেসক্লাবের সামনে আরো একটি বিক্ষোভের আয়োজন করে কাশ্মিরী নেতা ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী মিশাল মালিক। এ সময় হাফিজ সাইদের জামায়াত-উদ-দাওয়া থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ভারত যতক্ষণ পর্যন্ত না কাশ্মিরীদের জন্য দেওয়া রিলিফ পণ্য গ্রহণ না করবে ততক্ষণ তারা ওই স্থান ত্যাগ করবে না। মঙ্গলবার মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হাফিজ সাইদের ছেলে তালহা সাইদের গাড়িবহর রিলিফ পণ্য নিয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের চাকোতির ‘লাইন অব কন্ট্রোল’-এ অপেক্ষমান রয়েছে। কারণ পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী তাকে সেখানেই আটকে দিয়েছে। সেখানেই তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবি ভারতকে কাশ্মিরিদের জন্য এসব রিলিফ পণ্য গ্রহণ করতে হবে। এর আগে হাফিজ সাইদ পাকিস্তান সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছিলেন- রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে কাশ্মির হত্যাযজ্ঞের জন্য কাশ্মির ও পাকিস্তানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। গত ৮ জুলাই হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির নিহত হওয়ার পর সহিংসতায় সেখানে এ পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন।