মাহমুদুল আলম : উপস্থিত শতাধিক তরুণ-তরুণীর কাছে শিক্ষামন্ত্রী হঠাৎ জানতে চাইলেন- ‘শিক্ষানীতি কে কে পড়েছেন? হাত তোলেন।’ এরপর বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, মাত্র ২-৩ জন! সমাজের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে তরুণ-তরুণীদের করা সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা বলেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনে তরুণ সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে যারা কথা বলেন, তাদের বেশিরভাগই অনুমান নির্ভর ও অবাস্তব মতামত দিয়ে থাকেন।
সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন, ইয়ুথ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনালসহ ১২টি সংস্থা ‘ইয়ং চেঞ্জ মেকারস কোয়ালিশন’- এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষানীতি প্রণয়নে মতামত নেওয়া হয়নিÑ এটা প্রচলিত ধারণা। নীতি চূড়ান্ত হওয়ার আগে সব শ্রেণির মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে’। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের মন্ত্রী হয়ে বিএনপির নেতাদেরও মতামত নিয়েছি। এই দেশে এটা সম্ভব? হাজার হাজার মতামত পেয়েছি। শিক্ষক-আলেম ওলামারাও মতামত দিয়েছেন। আমরা বছরের পর বছর মতামত নিয়েছি।
যারা শিক্ষানীতি পড়েননি তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কোনো বিষয় নিয়ে অনুমান নির্ভর থাকলে হবে না। কম দামে শিক্ষানীতি কিনতে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটে সব দেওয়া আছে, আপনারা সহজে পড়তে পারেন। পড়ে মন্তব্য করলে কোথায় ভুল আছে বা কী নেই, তা তুলে ধরে সরকারকে সুপারিশ করতে পারেন তরুণরা।
বক্তব্যের শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বন্ধের নির্দেশ দেওয়া পিস স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের দায়-দায়িত্ব ওই সব স্কুল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, যারা শিক্ষার্থীদের এই পথে (স্কুলে) নিয়ে এসেছেন তাদের দায়িত্ব তারাই নেবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পিস স্কুলগুলোর লেখাপড়া ও মানসিকতা নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এই স্কুলগুলো যারা পরিচালনা করছেন, তারা স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী শক্তি। সম্পাদনা : এএইচসি