স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৬ সালটা লিওনেল মেসির জন্য বিব্রতকর। তার জীবনের সব বাজে ঘটনা যেন এ বছরই ঘটছে। কর ফাঁকির মামলার রায় হয় এ বছর। সেখানে কর ফাঁকির ‘অপরাধের’ জন্য মেসিকে জরিমানা দিতে হয় ১.৭ মিলিয়ন পাউন্ড। আর তার বাবাকে জরিমানা গুনতে হয় ১.৩ মিলিয়ন পাউন্ড। এরপর কোপা
আমেরিকার ফাইনালে হারে তার দল আর্জেন্টিনা। এতে ক্ষোভে-দুঃখে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।
তবে বিশ্বের নামকরা ফুটবলারদের জীবনে অনেক নারীঘটিত কেলেঙ্কারি থাকলেও মেসিকে এতদিন নিষ্কলুষ মনে করা হতো। সম্প্রতি মেসির নারী কেলেঙ্কারি ফাঁস করে দিলেন আর্জেন্টিনার নারী মডেল জোয়ানা গঞ্জালেস। এরপর এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মেসির সঙ্গে তিনি রাত কাটিয়েছেন। শুধু এখানেই থেমে থাকলেন না তিনি। মেসির সঙ্গে ওই রাত কেমন কাটিয়েছিলেন এবং তার ‘নৈপুণ্য’ কেমন ছিল সেটাও ফাঁস করে দিলেন ঘটনার কয়েকদিন পর। যৌনতায় মেসি এক্কেবারে কাঁচা বলে জানালেন তিনি। বিছানায় বিশেষ ওই কর্মের সময় মেসিকে মৃত লাশের মতো মনে হয়েছিল বলে জানালেন তিনি।
মেসির সঙ্গে পরিচয় ও হোটেল রুমে রাত কাটানোর পুরো বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। মেসি তখন যুবক। সে কী করতে যাচ্ছে সেটা সে জানতো। তার নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে এসে বলল, কেউ আমাকে ডাকছেন। আমি খুবই কৌতূহলী হয়ে পড়ি। তার কথা মতো গেলাম। গিয়ে দেখি আমার আইডল মেসি আমার সামনে। নিজে না গিয়ে সিকিউরিটিকে আমার কাছে পাঠানোয় আমি তাকে ভীরু বলে ডাকলাম। লক্ষ্য করলাম- সে খুবই লাজুক। তার গার্লফ্রেন্ড আছে কি নেই এ বিষয়ে সে আমাকে কিছু বলেছিল কিনা মনে নেই। একটু পর তার সঙ্গে আমি পুর্তো মাদেরোর একটি অ্যাপার্টমেন্টে যাই। যে খেলোয়াড় ফুটবল পায়ে সারা মাঠ দৌড়ে বেড়ায় তার কাছ থেকে এখানেও আপনি দারুণ নৈপুণ্য আশা করবেন। কিন্তু সে যা করলো তাতে আমি হতাশ। আমি আরও বেশি প্রত্যাশা করেছিলাম। এক সময় তো মনে হলো, আমি একটি লাশের সঙ্গে কিছু করছি।’ সম্পাদনা : রিমন মাহফুজ